জাতীয়
চলছে স্ট্যান্ড ফর এনআইডি কর্মসূচি, বন্ধ সব ধরনের সেবা
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করছে ইসি সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় ও মাঠ পযায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেলা ১১টা থেকে

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে বৃহস্পতিবার ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করছে ইসি সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় ও মাঠ পযায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ইসি কর্মীরা সারাদেশে স্ব স্ব অফিসের সামনে মানববন্ধন করছেন। কর্মবিরতি ঘোষণা না করলেও অফিসের বাইরে মানববন্ধনে থাকায় নাগরিকদের এনআইডি সেবা দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে স্ট্যান্ড ফর এনআইডি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (ইটিআই) এর মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান, এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মতিয়ুর রহমান, আশরাফ হোসেন, মো. হাসানুজ্জামান, সাইফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা ও এনআইডি একসঙ্গে নির্বাচন কমিশনে রাখার পক্ষে ইসির পূর্বের সংলাপ গুলোতে অংশীজনরা মতামত দিয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একটি আইন করে শুধুমাত্র এনআইডি সেবা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার চেস্টা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যমান আইনটি বাতিল করে এনআইডি ইসির অধিনেই রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে দেখা যাচ্ছে আলাদা করে একটি কমিশন বানিয়ে এনআইডি তার অধীনে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল। এনআইডি ইসির অধীনে থাকবে এটি যৌক্তিক দাবি। এনআইডি ইসির অধীনে না থাকলে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত হবে- এমন উদ্বেগ যৌক্তিক। এনআইডি আলাদা হলে নির্বাচন ব্যবস্থাই বাধাগ্রস্ত হবে।
এনআইডি এমনভাবে জন্ম হয়েছে এটা কমিশন থেকে আলাদা করার মতো নয়। এটা একটি ডাটাবেইজ। কোনো প্রতিষ্ঠান এনআইডি নিতে হলে ভোটার তালিকাও নিতে হবে। এনআইডি নিলে ভোটার তালিকা ব্যহত হবে। এনআইডি চলে গেলে ভোটার তালিকায় ভাটা পড়বে। এনআইডি জন্ম হয়েছে নির্বাচন কমিশনে সুতরাং এখানে থাকা দরকার।