অন্তরর্বতী সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, এক ঝাক তরুণ ফেরেশতার মতো এসে জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন ।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের ভবানীগঞ্জ মোড় এলাকায় ৩৬ জুলাই শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অন্তরর্বতী সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, অধিকার আদায়ের বিরুদ্ধে ছিল দমন পীড়নের সাড়ে ১৫ বছরের সংগ্রাম। সেখান থেকে এক ঝাঁক ফেরেশতার মতো তরুণ এসে জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়ে ছিলেন। সারা দেশের মানুষ তাদের পিছনে এসে দাঁড়িয়েছিল। জুলাইয়ের ৩৬ দিন পর বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের সামনে বিচার এবং সংস্কারের কাজ বাকি রয়েছে। বিচারকে দৃশ্যমান করে তোলার প্রক্রিয়া এবং বিচার কাজ দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। আমরা বিচার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। যতদূর সম্ভব আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। কারণ এটা শুধু একটি সরকার নয় এটা একটি গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবী সরকার। এই সরকার এসেছে গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে। আমরা সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। চেষ্টা করছি দেশের জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে সেই এক ঝাঁক তরুণ যে আলোর আশা জাগিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে।

নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, নাটোরের জুলাই শহীদ কলেজ ছাত্র মিকদাদ হোসেন খান আকিবের পিতা অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান ও শহীদ হৃদয়ের পিতা রাজু আহম্মেদ।

এর আগে নাটোরের আট শহীদ পরিবারের সাথে সার্কিট হাউজে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আজকে যারা উপস্থিত হয়েছেন এই দেশের জন্য তাদের কারো সস্তান, কারো ভাই আবার কারো স্বামী জীবন দিয়েছে। ফ্যাসিবাদ মুক্ত এই দেশটা আপনাদের সস্তানের, ভাইয়ের বা স্বামীর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি। আবার কখনো যেন ফ্যাসিবাদ দেশে ফিরে আসতে না পারে সেদিকে সকলকে নজর রাখতে হবে। দেশটা যেন আপনাদের নজরের বাইরে চলে না যায়।

শনিবার সকালে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বিভিন্ন কবরস্থান ঘুরে ঘুরে নাটোর শহরের পাঁচ জুলাই শহীদদের কবর জিয়ারত করেন।