যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক থেকে মুক্তি পেতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে ঢাকা ও ওয়াশিংটন। পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি (Agreement of Reciprocal Tariff) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠকে অংশ নেন দুই দেশের শীর্ষ প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেতৃত্বে ছিলেন ইউএস অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেনডান লিঞ্চ।
বৈঠক শেষে ড. খলিলুর রহমান জানান, “আলোচনায় আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। উভয় পক্ষই পারস্পরিক স্বার্থে চুক্তিটি দ্রুত চূড়ান্ত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।”
এই চুক্তির উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও সহায়ক করে তোলা। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চুক্তিটি ২০২৫ সালের মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, চুক্তিটি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক হ্রাস পাওয়ায় তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতের রপ্তানি বাড়বে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাজারপ্রবেশ সহজতর হবে এবং দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কার্যকর হলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।