বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব মোকাবিলায় সহনশীলতা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবনে ক্ষতি কমানো এবং ভবিষ্যৎ ঝুঁকি এড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয় শুরু করেছে ‘ইনক্লুসিভ বাজেটিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিং ফর ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স (আইবিএফসিআর)-এর দ্বিতীয় ধাপ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ কর্মসূচির লক্ষ্য হলো জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা জোরদার করা। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশ প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়ছে। সম্ভাব্য অভিবাসন, কৃষি উৎপাদনের ক্ষতি ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতেই এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টেফান লিলার এবং এএফডি’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিসিলিয়া কর্টেসে।
ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নে আমাদের অবদান খুবই সামান্য, কিন্তু ক্ষতির বোঝা বইতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তাই অভিযোজন ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইবিএফসিআর-এর দ্বিতীয় ধাপ আমাদের অর্থনীতি ও জনগণকে আরও শক্তিশালী করবে।
অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি বলেন, জলবায়ু অগ্রাধিকার কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় ও অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো জরুরি। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়লে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থায় জলবায়ু বিষয়গুলো আরও কার্যকরভাবে যুক্ত করা সম্ভব হবে।
ইউএনডিপির প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, এই উদ্যোগ সরকারি আর্থিক ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে জলবায়ু অগ্রাধিকারকে নিয়ে এসেছে। প্রতিটি বিনিয়োগ মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনবে।
সিসিলিয়া কর্টেসে জানান, আইবিএফসিআর-২ একটি কারিগরি সহায়তা কর্মসূচি, যা ৩০ কোটি ইউরোর নীতিনির্ভর ঋণ প্রকল্পের সম্পূরক হিসেবে কাজ করবে। এই অর্থায়ন বাংলাদেশের জলবায়ু কৌশল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।