DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

জাতীয়

ডাকাতি ছিনতাই চুরির মব আতঙ্কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কমে গেছে

অরক্ষিত রাতের মহাসড়ক

রাতের বেলায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলো। ডাকাতি, ছিনতাই, মব সহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় রাতের বেলায় দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কমে গেছে। এমনকি দূরপাল্লার মালবাহী গাড়ি চলাচল সীমিত করেছে অনেক পরিবহন মালিক। সহসাই এ সমস্যার সমাধান না হলে দেশের অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্টাফ রিপোর্টার
Printed Edition

রাতের বেলায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলো। ডাকাতি, ছিনতাই, মব সহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় রাতের বেলায় দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কমে গেছে। এমনকি দূরপাল্লার মালবাহী গাড়ি চলাচল সীমিত করেছে অনেক পরিবহন মালিক। সহসাই এ সমস্যার সমাধান না হলে দেশের অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে নৈশ বাসে ডাকাতির ঘটনা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। যাত্রীবেশে বাসে উঠে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারসহ যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব ছিনতাই করে নিচ্ছে ডাকাতদল। এ অবস্থায় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-রাজশাহীসহ রাতে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসে যাত্রী কমছে। এ অবস্থায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাস মালিকরা। তারা জানিয়েছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে তাদের নৈশ সার্ভিস বাস বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই।

ডাকাতদলের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন পেশায় জড়িত বলে তারা জানান। কেউ গার্মেন্টসে খ-কালীন কাজ করেন। আবার কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন বা অটোরিকশা চালান। এরাই রাতের বেলা হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। ফোন করে হুমকি দে। নিয়মিত মাসোহারা না পেলে গাড়ি থামিয়ে লুট করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসমালিক বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মদনপুর, কাঁচপুর, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঘোড়াশাল টোলপ্লাজা থেকে ইটাখোলা মোড় এবং রংপুর-ঢাকা রুটের কালিয়াকৈর থেকে হাঁটুভাঙা পর্যন্ত পয়েন্টে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। এদের নিয়মিত মাসোহারা দিতে হয়। কোনো কারণে একটু কমবেশি হলেই তারা হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে। নয়তো রাতে বাস থামিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

সম্প্রতি বাস ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রী সংখ্যা কমছে দাবি করে ওই বাসমালিক বলেন, গত পরশু রাতে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে নীলফামারী থেকে সিলেট গেছে তার বাস। আর গতকাল রাতে এসেছে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে। আগের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ যাত্রীও মিলছে না।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, গত দেড় মাসে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় ১৬টি মামলা হয়েছে। তবে সড়কে ডাকাতির প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। ডাকাত আতঙ্কে রাতে দূরপাল্লার বাসের যাত্রী কমেছে। এ পরিস্থিতির জন্য যাত্রী ও সংশ্লিষ্টরা দায়ী করছেন পুলিশের নিস্ক্রিয়তা, টহল না থাকা ও ঢিলেঢালা নিরাপত্তাকে।

মাসুদ পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে রংপুর আসার পথে কয়েকদিন আগে কালিয়াকৈর ব্রিজের কাছে ডাকাতির কবলে পড়ে। ওই বাসের সুপারভাইজার সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘চান্দুরায় চারজন যাত্রীবেশে উঠেছিল। কালিয়াকৈর ব্রিজের কাছে এসে সামনে একটি প্রাইভেটকার গতিরোধ করে। এরপর যাত্রী বেশে থাকা ডাকাতদলের সদস্যরা টাকা ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাত সদস্যরা তাকে বেধড়ক মারধর করে। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এক সপ্তাহ।’

রংপুর শহরের কসমেটিকস ব্যবসায়ী আবুল কালাম নিয়মিত ঢাকা যাওয়া আসা করেন। সম্প্রতি রাতে বাস ডাকাতির আতঙ্কে যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছেন। কালাম বলেন, ‘আমি রাতে রংপুর থেকে ঢাকায় গিয়ে দিনের বেলা প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে আবার রাতের গাড়িতে ফিরে আসতাম। এখন রাতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।’

কুড়িগ্রাম-সিলেট রুটের ইউনাইটেড পরিবহনের সুপারভাইজার বাবুল বলেন, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ক্যাম্প না থাকা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের স্বল্পতার কারণেই বেশিরভাগ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব কারণে রাতে বাসে যাত্রী কমছে।

ঢাকা থেকে রংপুরের গঙ্গাচড়াগামী সৈকত পরিবহন গত ২৫ জানুয়ারি রাতে ডাকাতের কবলে পড়ে। বাসমালিক আমিনুল ইসলাম জানান, রাত দেড়টার দিকে কালিয়াকৈর ব্রিজ এলাকায় যাত্রীবেশে ওঠা আটজনের একটি দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা-পয়সা, মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ কারণে এখন রাতে বাস চলাচল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়া যায় না।

এদিকে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে ধরা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে। বন্দর শহর চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়কপথে সারাদেশের মেলবন্ধন তৈরি করে দেশের প্রধান এ মহাসড়ক। সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ছাড়াও সারাদেশের পণ্য পরিবাহিত হয় মহাসড়কটি দিয়ে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের অধিকাংশ পণ্যও এ মহাসড়ক দিয়ে পরিবাহিত হয়। সম্প্রতি ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছে মহাসড়কটি। ভুক্তভোগীরা বলছেন, হাইওয়ে পুলিশের অদক্ষতা ও নির্লিপ্ততায় ডাকাতি-ছিনতাইয়ের প্রবণতা বেড়েছে।

পাশাপাশি ‘মব’ নামে সাধারণ জনতার আইন হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতাতেও শঙ্কায় পড়েছেন হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরি প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৫০টি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে আইনশঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

পুলিশ, ভুক্তভোগী এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ছয় মাসে বেশ কয়েকটি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। মহাসড়কের সীতাকু-, মীরসরাই, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও দাউদকান্দি এলাকায় এসব ঘটনা বেশি দেখা গেছে। এরমধ্যে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস থেকে শুরু করে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যানও ডাকাতির শিকার হচ্ছে।

গত ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম থেকে ১৫ টন ঢেউটিন নিয়ে মুন্সিগঞ্জে যাওয়ার পথে দাউদকান্দি সেতুর পর ডাকাতির কবলে পড়ে বিসমিল্লাহ ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির একটি ট্রাক। পরদিন গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার ফ্যাক্টরির পাশে খালি অবস্থায় পাওয়া যায়।

১১ নবেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে মীরসরাইয়ে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে আরমান ট্রেডার্সের একটি গাড়ি। এসময় ছিনতাইকারীরা চালকের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। চালক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোনকল করলে ছিনতাইকারীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে এবং গাড়ির গ্লাসে ভাঙচুর করে সেখান থেকে চলে যায়।

গত ৯ ডিসেম্বর রাতে মহাসড়কের সীতাকু-ের পন্থিছিলা এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ডাকাতি করে একদল ডাকাত। ঘটনাস্থল পার হওয়ার সময় ডাকাতদল গাড়িটি লক্ষ্য করে লোহার পাত ছুঁড়ে মারে। এসময় চালক প্রাইভেটকারটি থামালে গাড়ির মালিক নুরুজ্জামান ও গাড়িচালককে জিম্মি করে টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয় ডাকাতদল। টহল পুলিশ ডাকাতদলকে ধাওয়া দিলে ডাকাতের গুলিতে আরেক ডাকাত নিহত হন।

বগুড়া থেকে ১৫ টন (৩০০ বস্তা) চাল নিয়ে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে গত ১৫ জানুয়ারি ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরাশ্বনী এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির শিকার হয় কিবরিয়া ট্রেডার্স অটো রাইস মিলের একটি ট্রাক। এসময় ডাকাতদল ট্রাকচালক মিরাজুল ও হেলপার রবিউলের চোখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে মাইক্রোবাসে তুলে মহাসড়কের দৈলবাড়ি এলাকায় ফেলে ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় ৩৮ দিন পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ট্রাকটি খালি অবস্থায় গাজীপুর থেকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।

ট্রাকটির চালক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ১৫ জানুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রাম থেকে আমাদের ট্রাকটি ডাকাতি হয়। ডাকাতরা পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় ছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। প্রথমে পুলিশ দেখে গাড়ি থামাই। তাদের কথামতো গাড়ি থেকে নামলে আমাদের চোখ বেঁধে অন্য একটি গাড়িতে তুলে কিছুদূর নিয়ে ফেলে দেয়। দুদিন পর আমি চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেছি। এখন মহাসড়কটি অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। মহাসড়কে জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই।

ট্রাক কাভার্ডভ্যান প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোর্শেদ হোসেন নিজামী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি দেশের প্রধানতম মহাসড়ক। সম্প্রতি এ মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। মহাসড়কটিতে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নয়নে আমরা পুলিশ ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, মহাসড়কের পাহারায় বিশেষায়িতভাবে দায়িত্বে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। কিন্তু আমরা পরিবহন ব্যবসায়ীরা হাইওয়ে পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না। তারা (হাইওয়ে পুলিশ) ডাকাতি ছিনতাই রোধে কাজ করার চেয়ে পণ্যবাহী পরিবহনগুলোকে হয়রানি বেশি করছে। গত মাসে আমরা তাৎক্ষণিক সমাবেশ করেও বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছি। এরপর মহাসড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী পরিবহনে কিছুটা হয়রানি কমলেও ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়ন। হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খাইরুল আলম গথমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহাসড়কের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় হাইওয়ে পুলিশ নিরলস কাজ করছে। বিশেষত সাম্প্রতিক সময়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ‘মূলত জনবল সংকট এবং লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম বিঘিœত হয়ে আসছিল। আমরা হেডকোয়ার্টার থেকে পর্যাপ্ত ফোর্স চেয়েছিলাম। এরই মধ্যে ২৫০টি ফোর্স পাওয়া গেছে। এসব ফোর্স ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোতায়েন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশ লজিস্টিক সমস্যাতে ভুগছে। এরমধ্যে পরিবহন সংকট প্রকট হয়েছে। বিশেষত ৫ আগস্টের ঘটনায় কুমিল্লা রিজিয়নের ১২টি পিকআপ, তিনটি রেকার, একটি তিনটনি মিনি ট্রাক একেবারে পুড়ে গেছে। এতে পুলিশি কার্যক্রমে যানবাহন সংকট তীব্র হয়। আবার এসব যানবাহনের রিপ্লেসমেন্টও এখনো হয়নি। এখন ভাড়ায় গাড়ি নিয়ে টহল কার্যক্রম চালাচ্ছি।

জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশ বর্তমানে ৭৩টি থানা ও ফাঁড়ির মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ৩ হাজার কিলোমিটার মহাসড়কে দিবা-রাত্রি মাত্র ২ হাজার ৮০০ পুলিশ ডিউটি করে। সম্প্রতি রাত্রিকালীন বাসে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশকেও যুক্ত করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের একটি ফাঁড়ি থেকে আরেক ফাঁড়ির দূরত্ব গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। এ কারণে রাতে মহাসড়কগুলোতে হাইওয়ে পুলিশের দুই ফাঁড়ির মাঝের দূরত্বে মহাসড়কে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের টহল দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।