ইবরাহীম খলিল ও রফিকুল আলম রঞ্জু, সাথিয়া (পাবনা) থেকে : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলনা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন শহীদ নিজামীর খুনীদের বিচার এই বাংলার মাটিতে-ই হবে। তিনি বলেন বাংলাদেশে আর কোন ফ্যাসিবাদকে আসতে দেওয়া হবে না।

রোববার পাবনার সাঁথিয়া সরকারী ডিগ্রী কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর শাহাদাত উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, মাওলানা নিজামী একটি ইতিহাস একটি নাম। তাঁর সাথে সবশেষ দেখা হয়েছে জেলখানায়। সেদিন তিনি জীবনের অনেক কিছু আমার কাছে বলেছেন। তিনি বলেন, পাবনার এই সাঁথিয়ার নাম কয়জন জানতো- চিনতো ? তাও আবার মনমথপুরের ছেলে নিখিল পাকিস্তান ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীরও আমীর ছিলেন।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ভারত নিজামী সাহেবের নেতৃত্বকে ভয় পেতেন। ভারত জানতো দুই মহিলার নেতৃত্ব না থাকলে মতিউর রহমান নিজামী বাংলাদেশের নেতৃত্বে দিবেন। তাই ভয় পেয়ে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতেই এই বিচারের আয়োজন করেছিল। মিথ্যা মামলা, মিথ্যা সাক্ষী, মিথ্যা তদন্ত কর্মকর্তা এবং মিথ্যা বিচারপতি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলেছে এটা ছিল বিচারিক গণহত্যা। বাংলাদেশের মানুষ জানে এটা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড।

তিনি বিচারের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখী করতে হবে। কারণ এরা খুনি। নইলে বাংলাদেশের জনগণ এদের বিচার করতে বাধ্য করবে। শুধু তা-ই নয়। হাসিনা তার বাহিনী দিয়ে গুম, খুন,হত্যা কারাগারে আটক করে রেখেছিল অনেক মানুষকে। কারণ একটাই ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা।

রফিকুল ইসলাম খান জোর দিয়ে বলেন, হাসিনা পালিয়েছে, তার মন্ত্রী এমপিরা পালিয়েছে। কিন্তু আমাদের নেতারা ফাঁসির মঞ্চে কালেমা পড়তে পড়তে গিয়েছেন পালাননি।

তিনি শহীদ মীর কাসেম আলীর উদাহরণ টেনে বলেন, তিনি বিদেশে থেকে যেতে পারতেন। তিনি এয়ারপোর্টে নেমে আমাকে ফোন করলেন। বললেন নিজামী ভাইদের জেলে রেখে আমেরিকা থাকতে পারি না। আমাদের নেতারা পালাননি। আপনারা পালালেন কেন ? শুধু প্রধান মন্ত্রী পালাননি। জাতীয় মসজিদের ঈমাম পর্যন্ত পালিয়েছেন। তারা বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করেছিলেন।

আমরা দাবি জানাই সকল গণহত্যার বিচার করতে হবে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার করতে হবে। অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর শার্ট পরিবর্তন করে জুলাই যোদ্ধা সাজার চেষ্টা করছে। কোন কিছুর বিনিময়ে প্রশ্রয় দেওয়া হলে তাদেরকেও একই কাতারে রাখা হবে না। আমরা তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাচারের টাকা ফেরত আনতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে আগে স্থানীয় নির্বাচন পরে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। যেন তেন নির্বাচন দেওয়া চলবে না। এই দেশ কারো বাপ দাদার নয়। ১৮ কোটি মানুষ সিদ্ধান্ত নিবে তারা কাকে আগামি দিনে কাকে ক্ষমতায় পাঠাবে। সচিবালয় থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে রব উঠেছে সবদল দেখা শেষ জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ।

রফিকুল ইসলাম খান উল্লেখ করেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেছে। হাসিনা পালিয়েছে,তার এমপিরা পালিয়েছে। তার বিচারপতিরা পালিয়েছে। কিন্তু এখনো ফেরত দেওয়া হলো না কেন ? আগামি ১৩ তারিখ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, শহীদদের স্বপ্ন আল্লাহর আইন আর সৎ লোকের কায়েম না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। জামায়াতে ইসলামী ইসলামের কল্যানের লড়াই করতে চাই। মাঝখানে কোন বিরতি নাই।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, মাওলানা নিজামীর অবর্তমানে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনকে রেখে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে তিনি নির্বাচন করতেন। তার ছেলেকে আগামি নির্বাচনে সমর্থন এবং ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

মরহুম মাওলানা নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মাওলানা আবদুর রহীম, জেলা আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর, মো. শাহিনুর আলম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ডা. আবদুল বাসেত খান ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল, ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার ও সোস্যাল মিডিয়া সম্পাদক, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল গাফফার খান, সাপ্তাহিক সোনার বাংলার চেয়ারম্যান একেএম রফিকুন্নবী প্রমূখ।

জেলা আমীর আবু তালেব মন্ডল বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা চেয়েছিলেন আমাদের শীর্ষ নেতাদের শহীদ করে জামায়াতে ইসলামীকে নির্মূল করতে চেয়েছিলেন। কি নির্মম পরিহাস এক বছরে মধ্যে তাদেরকেই জনগণ তাদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, আজও আমাদের ভাই এটিএম আজহার ভাই কারাগারে। তিনি নির্দোষ। সাঁথিয়া বেড়া ইসলামের দুর্গে পরিণত হয়েছে। আমরা প্রতি ফোটা শহীদের রক্তের বদলা নিবো। একটি কল্যানমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করে বদলা নেবো।

প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন বলেন, শুধু মাত্র দ্বীনের দায়িত্ব পালনের কারণে আওয়ামী লীগ ২০১৬ সালের ১১ ই মে মাওলানা নিজামীকে ফাঁসির কাস্টে ঝুলিয়েছে। ৯ বছরের ব্যবধানে একই তারিখ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছে। এটা মহান আল্লাহ তায়ালার সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র জামায়াতে ইসলামী মজলুম দল। আগামি নির্বাচনে জামায়াত মনোনিত পাবনার ৫ প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

আবদুল গাফফার খান বলেন, শহীদের ময়দান থেকে আমরা ঘোষণা করতে চাই আওয়ামী লীগের ডালপাতা পাতাসহ পুড়ে দিতে চাই। শিকড়সহ উপড়ে ফেলে দিতে চাই। তাদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। মাওলানা নিজামীর প্রতি ফোটা রক্তের মূল্য আদায় করে ছাড়বো।

ডা. আবদুল বাসেত খান বলেন, ১১ তারিখ মাওলানা নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। গতকাল তারাও (আওয়ামী লীগ) ফাঁসিতে ঝুলেছে। তিনি সাঁথিয়াতে নিজামী সাহেবের ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেনকে নির্বাচনে বিজয়ী করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন বিজয় আমাদের কড়া নাড়ছে। আমরা নিজামী সাহেবের চরিত্র থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবো। ‘বুন ইয়ানুন মারসুছ’ সিসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় আমরা থাকবো। এবং পাবনাতে জামায়াতে ইসলামীকে বিজয়ী না করে মাঠ ছাড়বো না।

বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আব্দুর রহীম বলেন, নিজামী সাহেব যখন শহীদ হন তখন আমি জেলখানায় ছিলাম। তিনি আমীর হওয়ার পরই তাকে যুদ্ধাপরাধী বানানো হলো। যারা সাক্ষী দিয়ে ফাঁসির আয়োজন করেছে তারা সাঁথিয়াতে রয়েছে। তারা আমাদের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের গ্রেফতার হওয়া দরকার। তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।

বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের মতো আমরাও অপেক্ষায় ছিলাম। জানাজা পড়তে দেয়নি। আগামি নির্বাচনে প্রতিশোধ নিবো। আগামি নির্বাচন হবে ইসলামী আন্দোলনকে বিজয় করার নির্বাচন।

সিরাজগঞ্জ জেলার আমীর শাহিনুল আলম বলেন, জুলুমের বিচার বাংলার জমিনে শুরু হয়েছে। মাওলানা নিজামী বলেছিলেন আমার শহীদের বিনিময়ে পরিবর্তন হবে। সেই পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। আজিজুর রহমান আজাদ বলেন, মাওলানা নিজামীর শাহাদাত আমাদের জুলাই বিপ্লবে প্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশে ন্যায় এবং ইনসাফের রাজনীতি চালু হবে। আমরা ওয়াদা করছি আমরা প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার না করে মাঠ ছাড়বো না। যত মামলা হয়েছে তার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়বো না। ভারতীয় আধিপত্যবাদ চলবে না। আগামি বাংলাদেশ তরুণদের বাংলাদেশ শহীদদের বাংলাদেশ। আগামির বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ।

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেন, ওরা চেয়েছিল আমাদের নিষিদ্ধ করতে, আল্লামা সাঈদীকে আগস্ট মাসে হত্যা করেছে। এই আগস্ট মাসেই আওয়ামীলীগ চিরতরে দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। একবার বাবাকে কারাগারে উৎফুল্ল দেখলাম। তিনি বললেন, স্বপ্ন দেখলাম নিজামী ভাই দেখলাম ফল ফলাদি খাচ্ছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম নিজামী ভাই কি খাচ্ছেন ? তিনি জানালেন বেহেস্তের নাজ নিয়ামত। তিনি বলেন, মাওলানা নিজামী ছিলেন বাংলার বীর সেনানী। গাজাখুরি সাক্ষীর বিনিময়ে ফাঁসি দিয়েছেন যে বিচারক; তার শাস্তি চান মাসুদ সাঈদী। তিনি সকল হত্যার বিচার চান। ব্যালটে লক্ষ ভোটের বিনিময়ে জিতিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

আয়না ঘর থেকে ফিরে আসা শহীদ মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান বলেন, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে নামেই বিশ্বের সব আলেম সমাজ চিনতেন। তাদের অন্যায়ভাবে ফাসি দেওয়া হয়েছে। তার সবচেয়ে উচিত প্রতিশোধ হবে তার ছেলেকে সংসদে পাঠানো।

শহীদ মাওলানা নিজামীর জামাতা ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, শতান্দির জগন্য ক্যাঙ্গারো কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা হয়েছে। বাইরে থেকে মিছিল মিটিং লবিং করেছি। আমাদের দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। রক্ত কনিকা থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি নিজামী সারা দেশে জন্ম নিবে। আজ বাংলাদেশে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া যেভাবে জেগে উঠেছে। আমরা অপ্রতিরোধ্য। কোন অপশক্তি আমাদের রুখে দিতে পারবে না। নাজিবুর রহমান মোমেনকে খুব কাছে থেকে মানুষ করেছেন। দ্বীন ও দুনিয়ার দক্ষ একজন মানুষকে আপনারা পেয়েছেন। আপনারা তাকে নির্বাচিত করবেন।

শহীদ আলী আহসান মুজাহিদের ছেলে আলী আহমদ মাবরুর বলেন, আমার বাবা এবং শহীদ মাওলানা নিজামীর ৪৫ বছরের সম্পর্কের জীবনে দেখেছি মাওলানা নিজামীর রেখে যাওয়া দায়িত্ব আমার বাবা পালন করেছেন। তাদের মধ্যে বোঝাপড়া এবং আনুগত্য আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। বিশ্ব জরিপে প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়েছিলেন। তার বিষয়ে বার বার আলোচনা হওয়া দরকার। সেজন্য আজকের আলোচনা বড়ই প্রাসঙ্গিক।

মাওলানা আবদুস সোবহানের ছেলে নেসার আহমেদ নান্নু বলেন, চিকিৎসা বিহীন অবস্থায় আমাদের বাবাদের মারা যেতে দেখেছি। মাওলানা নিজামীর সহকর্মী যারা সুখী সমৃদ্ধ ও ন্যায় ইনসাফ কল্যানমুখী দেশ গড়ার জন্য কাজ করছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। তিনি শহীদ বাবাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল স্মৃতিচারণ করে বলেন, এরকম বিনয়ী মানুষ জীবনে দেখিনি। তিনি কাউকে কটুকথা বলতেন না। শুধু মাত্র ইন্ডিয়ার আধিপত্যবাদ ঠেকানোর জন্য তাদের হত্যা করা হয়েছে। আল্লাহর খেলা বড়ই বিচিত্র। তারা একরকম পরিকল্পনা করেন আর আল্লাহ তার পরিকল্পনা করেন। নাজিবুর রহমান মোমেনকে নির্বাচিত করে নিজামী সাহেবের ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে তার জবাব দিবেন।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক রাসেল হোসেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধনবাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, জুলাই বিপ্লবীদের টালবাহানা চলবে না। লক্ষ্য অর্জনে আমরা আবার জীবন দিতে প্রস্তুত।

শ্রী প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, সাক্ষী দিতে ওসি সাহেব ডাকতেন। আমি বলেছি আমি মিথ্যা কথা বলবো না। কোর্টে গিয়েও আমাকে রিপিড করেছিল। আমি বলেছি আমি কোর্টে বলেছি দেখেনি চিনিও না। পরবর্তীতে আমাকে আর গাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়নি। আমি অনেক কষ্ট করে বাসায় ফিরেছি। তিনি নিজামী সাহেবের ছেলের প্রসংশা করে বলেন, আম গাছে কিন্তু তেতুল ধরে না। আর তেঁতুল গাছে মিষ্টি আম ধরে না।

সনাতনধর্মী অসীম কুমার দাস বলেন, আমাদের অত্যাচার করা হয়েছে। আজ তারা কোথায় ? আমরা কিন্তু সাঁথিয়াতেই আছি। তিনিও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেনের জন্য ভোট চান। এবং সবাইকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহবান জানান।

একেএম রফিকন্নবী বলেন, মাওলানা নিজামী পাবনার মনমথপুর থেকে গিয়ে সারা দুনিয়ার ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকে শহীদ করা হয়েছে। আমরা তার ছেলেকে সাথিয়া থেকে এমপি বানিয়ে প্রতিশোধ নিতে চাই। আমরা সবাই জান্নাতুল ফেরদাউসে গিয়ে একসাথে দেখা করতে চাই। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ নিজামীকে ফাঁসি দিয়েছে ১১ তারিখ। গতরাতে ১১ তারিখে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রমাণ হয়েছে অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হয়। তিনি জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামেরও দ্রুত মুক্তি চান।

শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাওলনা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী, মাওলানা আবদুস সোবহানের ছেলে নেসার আহমেদ নান্নু, শহীদ আলী আহসান মুজাহিদের ছেলে আলী আহমদ মাবরুর, শহীদ কামরুজ্জামানের ছেলে হাসান ইমাম ওয়াফি, শহীদ মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমান, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার ছেলে হাছান জামিল মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন।

বেড়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক ও সাঁথিয়া উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় মিলাদ মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন, সাথিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোখলেসুর রহমান, বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আতাউর রহমান, পাবনা আলহেরা স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল মকসুদ আলম চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান। ইসলামী ছাত্র শিবির পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ইসরাইল হোসেন শান্ত, পাবনা শহর শাখার সভাপতি ফিরোজ হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন পাবনা পৌর জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম। সভা শেষে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।