সরকার এক সপ্তাহের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলকে গণভোটসহ বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলোতে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে আহ্বান জানিয়েছে। যদি কোনো দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, সরকার নিজ থেকেই গণভোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে এই ঘোষণা দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে। অনুষ্ঠানে অন্য সরকারি উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এই আহ্বান সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক সহমতের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা হিসেবে এসেছে।

আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী, তারা ১৫ বছর নিজেরা আলোচনা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে এক সঙ্গে আন্দোলন করেছেন, একসঙ্গে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবেন এই প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, আমি গতকালই দেখলাম, একটি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানান হয়েছে, আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।

এর আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছিল ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে, যদিও গণভোট আয়োজনের সময় নিয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। কমিশন সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখাতেও গণভোট আয়োজনের সুপারিশ রেখেছে। তবে গণভোট আয়োজনের তারিখ সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই এই গণভোট চায়। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো এই নির্বাচন চায় নভেম্বরের মধ্যেই, না হলেও অন্তত জাতীয় নির্বাচনের আগে। এনসিপির অবশ্য গণভোট আয়োজনের তারিখ নিয়ে কোনো বিশেষ পছন্দ নেই।