ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) 'কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য: সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআন থেকে কল্যাণ লাভের উপায়' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (৩ মে) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা সোসাইটি আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাওলানা আবদুস শহীদ নাসিম।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কুরআনকে জানার জন্য মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। আজকের সেমিনার তার প্রমাণ। আমি মনে করি, কুরআন প্রতিনিয়ত চর্চার বিষয়। কুরআনকে বাহন হিসেবে নিয়ে কিভাবে সমাজ পর্যন্ত পৌঁছানো যায় সে চেষ্টা আমাদের করতে হবে। আজকের প্রধান আলোচক সেটিই আমাদের দেখিয়েছেন। কুরআর শিক্ষা সোসাইটি ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। আজকের এই আয়োজনে আমাকে আমন্ত্রণ করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক এরাবিক ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম।
সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) আবদুস সালাম সরকারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনা উপস্থাপন করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামিক স্কলার ড. নাসিমা হাসান, লেখক ও গবেষক ড. সাজেদা হোমায়রা এবং গবেষক ও শিক্ষক ড. আবদুল হালিম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম। তিনি বলেন, কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করা না হয়, তবে আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কোনোভাবেই পরিবর্তন আসবে না। জবাবদিহিতা হতে হবে আল্লাহর কাছে। আল্লাহভীতি না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন সফল হতে পারেনা।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক জীবন থেকেই কুরআন সুন্নাহ অনুসরণ করতে হবে। সমাজ জীবন আর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে আমানতদারীতার সাথে কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে। একমাত্র কুরআনের নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজ ও রাষ্ট্রে কল্যাণ লাভ করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুস শহীদ নাসিম বলেন, কুরআন সম্পর্কে আমাদের ভয়াবহ অজ্ঞতা রয়েছে। এই অজ্ঞতা থেকে যদি বের হতে না পারি তাহলে কুরআন থেকে আমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারবো না। কুরআন শুধু খতম দিলে হবে না। কুরআন নাজিল হয়েছে জানা-বোঝা ও মানার জন্য। কুরআনের আদেশ-নিষেধ পালন করতে হবে।