রাজধানীতে যাত্রীর চাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে মেট্রোরেলে। প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ মানুষ এ পরিবহন ব্যবহার করছেন। বিশেষ দিনে সংখ্যা আরও বেশি হয়।
তবে বর্তমানে কোচ বাড়ানো সম্ভব না হওয়ায় বিকল্পভাবে ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
প্রায় আড়াই বছর ধরে চলমান উত্তরা–মতিঝিল রুটে বর্তমানে দিনে প্রায় ২০০টি ট্রিপ হচ্ছে। যাত্রী চাহিদা মেটাতে এর সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও ১০টি ট্রিপ। এতে প্রতিদিন প্রায় ২৩ হাজার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও শুরু থেকেই ৮ কোচের পরিকল্পনা ছিল, এখনো পর্যন্ত ট্রেনগুলো চলছে ৬ কোচে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) না থাকা, অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন এবং বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের সক্ষমতা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে আপাতত কোচ সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
প্রাথমিক পরিকল্পনায় দেখা গেছে, সকালে সাড়ে ৬টার পর থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে, যা আগে ৭টা ১০ মিনিটে শুরু হতো। রাতেও বাড়ানো হবে সময়। এখন যেখানে শেষ ট্রেন ছেড়ে যায় উত্তরা থেকে রাত ৯টা ও মতিঝিল থেকে ৯টা ৪০ মিনিটে, সেখানে নতুন সূচিতে চলবে রাত ১০টার পর পর্যন্ত।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু ট্রিপ বাড়ালে খরচও বাড়বে। বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যাবে বহুগুণ। তাই দীর্ঘমেয়াদে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে কোচ সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো জরুরি।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এখনো পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে শিগগিরই এমআরটি লাইন–৬ এ বাড়তি ১০ ট্রিপ চালু হবে।