বিগত আওয়ামী সরকারের আমল থেকেই তৈরি পোশাক খাত রফতানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল। এছাড়াও জুলাই অভ্যুত্থানের পর অনেক কারখানার মালিক যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ছিলেন, তারা পালিয়ে যান। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে বিভিন্ন কারখানায় বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে। এতে গার্মেন্ট শিল্পে নতুন সংকট তৈরি হয়। যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। এতে গত বছরের আগস্টের পর থেকেই এই খাতের রফতানি আয় বাড়ছে। তবে সম্প্রতি গ্যাসের দাম বাড়নোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে পোশাক খাত নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তরা।

সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ এবং সস্তা শ্রম না পাওয়ায় পোশাক উৎপাদন থেকে বেরিয়ে আসছে চীন। এক্ষেত্রে তারা তাদের কারখানাগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে চায়। চীনের মতো আরও অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তাদের বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের সুবিধা বাড়ানো উচিত। কিন্তু দেশে গ্যাসের সরবরাহ সমস্যার সঙ্গে এখন নতুন করে দাম দ্বিগুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়বে। আর উৎপাদন খরচ বাড়লে বিদেশীরা আমাদের দেশে কেন বিনিয়োগ করবেন? তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন।

উদ্যোক্তারা বলছেন, বিদেশীরা সব সময় বিনিয়োগের জন্য ভালো বিকল্প খোঁজেন। যেখানে বেশি সুবিধা পাবেন সেখানেই যাবেন। সেক্ষেত্রে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারতসহ প্রতিযোগী দেশগুলো আমাদের চেয়ে বেশি সুবিধা দিচ্ছে। গ্যাসের দামে বৈষম্য তৈরি হলে নতুন কোনো স্থানীয় বিনিয়োগও হবে না। এতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যমান শিল্পগুলোও পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হয়ে পড়বে। তাই গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে সিস্টেম লস কমানো ও গ্যাসের আমদানি মূল্য রিভিউ উচিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত বছরের শেষ প্রান্তিক বা অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) থেকে মোট রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬ কোটি ৯১ লাখ ডলার। যা আগের প্রান্তিক বা জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে আসা রফতানি আয়ের চেয়ে ৮৫ কোটি ডলার বেশি। এছাড়াও গত বছরের তুলনায় ১৬২ কোটি ডলার বেশি রফতানি হয়েছে। উদ্যোক্তরা বলছেন, গার্মেন্টস খাতের লোকজন বলেছেন, বিদ্যমান যে সমস্যাগুলো আছে, যেমন গ্যাস সংকট, ইলেক্ট্রসিটি সমস্যা এগুলো যদি সমাধান হয় তাহলে এই খাতে আমাদের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পোশাক খাত এখনো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গ্যাস সংকট, শ্রমিক অসন্তোষ এই জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে এই প্রবৃদ্ধি আরও এগিয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ বছরের শেষ প্রান্তিকে বাংলাদেশের আরএমজি রফতানির শীর্ষ গন্তব্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, কানাডা এবং বেলজিয়াম। এই নয়টি দেশ থেকে বাংলাদেশ (আরএমজি থেকে) এক হাজার ৩৬ কোটি কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা মোট আরএমজি রফতানির ৮০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। তার আগের বছরের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ৮৭৪ কোটি ডলার। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে এই খাতে আয়ের পরিমাণ বেড়েছে ১৬২ কোটি ডলার। এছাড়াও জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পোশাক খাত থেকে রফতানি আয় ছিল ৯৫১ কোটি ২১ লাখ ডলার। সে হিসেবে বেড়েছে ৮৫ কোটি ডলার।

ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তৈরি পোশাকের নেট রফতানি (আরএমজি রফতানি মূল্য থেকে কাঁচামাল আমদানি মূল্য বিয়োগ করে নির্ধারিত) ছিল ৬৩২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার বা মোট আরএমজি রফতানির ৬১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে যে আয় দেশে এসেছে, এর মধ্যে নিটওয়্যার এগিয়ে আছে। আলোচ্য সময়ে নিটওয়্যার থেকে রফতানি আয় এসেছে ৫৪৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। অপরদিকে, ওভেন থেকে রফতানি আয় এসেছে ৪৮৮ কোটি ২০ লাখ ডলার।

প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাতের জন্য কাঁচামাল আমদানি করা হয়েছে ৪০৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের। এ সময় রফতানি করা হয়েছে এক হাজার ৩৬ কোটি ৯১ লাখ ডলারের পোশাক। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামাল আমদানি বাদ দিয়ে নিট রফতানি আয় হয়েছে ৬৩২ কোটি ডলার। আর জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে নিট রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৬১ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে নিট রফতানির পরিমাণও বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় বাড়াতে সরকার নানা সুবিধা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট সুবিধা। করোনা-পরবর্তী সময়ে রফতানি ঋণ সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের জন্য ঋণ সুবিধাসহ সুদহার সর্বনি¤œ পর্যায়ে রাখা হয়েছে, যা ২০২৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এছাড়া, তৈরি পোশাক রফতানি বাড়াতে রফতানির ওপর ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার সুবিধা দেয় সরকার। একইসঙ্গে রয়েছে ২ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তা।

রফতানিকারকদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঁচ হাজার কোটি টাকার গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড রয়েছে, যা থেকে রফতানিমুখি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানির জন্য অর্থায়ন করে। এছাড়াও আছে ১০ হাজার কোটি টাকার এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন ফান্ড এবং এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড। এসব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দেশের তৈরি পোশাক খাত দিন দিন রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে উঠেছে।

দেশে নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিনিয়োগশূন্য করার আন্তর্জাতিক চক্রান্ত মনে করছেন বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা। দাম বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাবকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে এ খাতে বিগত ১৫ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধান করে উৎসগুলো বন্ধে পদক্ষেপ এবং দাম আরও কমানোর দাবি জানান তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেট্রোবাংলা থেকে এমন এক প্রস্তাব এসেছে, যা দেশের বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত এবং শিল্প কারখানার কলেবর বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। একইসঙ্গে দেশে বেকারত্ব বাড়বে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। এ ছাড়া পেট্রোবাংলার এ প্রস্তাবকে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত আখ্যা দিয়ে এর ওপর শুনানি না করে প্রস্তাবটি বাতিলের আবেদনও করেছেন কেউ কেউ।

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আসার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সময়ে গ্যাস খাতের দুর্নীতি, সিস্টেম লসের দায় ব্যবসায়ীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা দুঃখজনক। গ্যাসের দাম যেখানে কমানো উচিত, সেখানে বাড়ানোর চেষ্টা দেশকে বিনিয়োগশূন্যের পরিকল্পনা। দাম বৃদ্ধির এই প্রস্তাবকে বিদেশী যড়যন্ত্রের অংশ মনে করছি আমরা।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মার্কিন নির্বাচনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতে চীন তাদের আরএমজি সেক্টর বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তরের চেষ্টা করছে। এতে বাংলাদেশের জন্য একটা বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সময়ে গ্যাসের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির চেষ্টা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যাতে দেশে নতুন করে কোনো বিনিয়োগ না আসে।

বিকেএমইএর সভাপতি আরো বলেন, নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকার ১১ টাকা ৫৮ পয়সার গ্যাস বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়। ওই সময় শিল্পে ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়। তবে দাম বাড়ানোর পর থেকেই গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা আরও খারাপ হয়। পরবর্তী সময়ে যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। ২০২২ সালের আগে যে শিল্প ইউনিটে গ্যাসের বিল ২ কোটি ১০ টাকা ছিল, দাম বাড়ানোর পর সেটি ৫ কোটি ২৫ লাখ হয়। প্রস্তাবিত মূল্য কার্যকর হলে সেটি বেড়ে হবে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে কারখানা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

ক্যাবের পক্ষ থেকে ড. এম শামসুল আলম বলেন, গ্যাসের দাম ?বৃদ্ধির প্রস্তাব ভয়ংকর গণবিরোধী। কমিশনের এই শুনানি গ্রহণ করা যৌক্তিক হয়নি। তাদের উচিত ছিল কমিশনের বৈঠকেই এই প্রস্তাব বাতিল করা। এখানে যেভাবে আমদানির কথা বলা হয়েছে, শুধু জ্বালানি নয়, দেশটা আমদানিনির্ভর করে ফেলা হচ্ছে। এই প্রস্তাবের ওপর কোনো শুনানি হতে পারে না। এটি বন্ধ করতে হবে। আমরা অনুরোধ করব, এই শুনানি এখনই বাতিল করে দেওয়া হোক। বক্তব্য শেষে প্রতিবাদস্বরূপ তিনি শুনানি বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বেরিয়ে যান।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন বলেন, এভাবে ৩০ টাকার গ্যাসের দাম ৭৫ করার প্রস্তাব দিয়ে আমরা কি মেসেজ দিচ্ছি দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীদের। আপনারা কি বলতে চাচ্ছেন, নতুন শিল্পের দরকার নেই। দয়া করে গ্যাসের দাম বাড়াবেন না। এটার মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

ব্যারিস্টার তামিম হোসেন বলেন, শিল্পে দুই ধরনের গ্যাসের দামের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিইআরসি আইন অুনযায়ী দুই ধরনের ট্যারিফ নির্ধারণের সুযোগ নেই। এই প্রস্তাব অগ্রহযোগ্য ও বেআইনি।

বিটিএমইএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, আমরা বিনিয়োগ করে ফেঁসে গেছি। ব্যবসা বন্ধ করতে পারছি না, ব্যাংকঋণ রয়েছে বলে। এখন যে ৩০ টাকা দিচ্ছি সেটাই অনেক বেশি। আমরা গ্যাস পাচ্ছি না, আর আপনারা দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।

বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, সরকার নতুন শিল্পের জন্য ১৫০ শতাংশ এবং সম্প্রসারণ শিল্পের জন্য ৫০ শতাংশ গ্যাস দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এমন পরিকল্পনার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। আমরা আর কেউ শিল্প করতে চাই না। তবে বর্তমান শিল্পকে সহায়তা করবেন না, এটা হতে পারে না। সস্তা গ্যাসের কারণে দেশে শিল্প কারখানা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না। ব্যাংকে সুদের হার বেশি। এনবিআরেও অন্য সমস্যা আছে। এ অবস্থায় অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ালে উদ্যোক্তারা কেউ নতুন বিনিয়োগ করবে না। বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণও হবে না।

জানা গেছে, গ্যাস সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে দুই বছর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দাম বাড়লেও গ্যাসের সংকট কাটেনি। শিল্প এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের অভিযোগ রয়েছে শিল্পমালিকদের। বাসাবাড়িতে চুলায় গ্যাস মেলে না এমন অভিযোগ রাজধানীর অনেক এলাকা থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে যুক্তি দেয়া হয়েছে, ‘যদি গ্যাসের দাম না বাড়ানো হয়, তাহলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে গিয়ে চলতি বছরে সরকারকে বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হবে।’

পেট্রোবাংলার দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘প্রতি ঘনমিটার এলএনজির বর্তমান আমদানি মূল্য পড়ছে ৬৫ টাকা ৭০ পয়সা। ভ্যাট-ট্যাক্স ও অন্যান্য চার্জ যোগ করলে তা দাঁড়ায় ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা। ফলে এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে হলে গ্যাসের মূল্যের এ ফারাক কমাতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এলএনজি আমদানি করলে চলতি অর্থবছরে পেট্রোবাংলার ঘাটতি হবে প্রায় ১৬ হাজার ১৬১ কোটি ৭১ লাখ টাকা।