গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অবস্থিত অর্ডন্যান্স সেন্টার এন্ড স্কুলে (ওসিএন্ডএস) আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের ৪৫তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে আয়োজিত এ গুরুত্ববহ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সম্মেলনে দেশের নিরাপত্তা, সামরিক প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার নতুন অঙ্গীকারে রূপ নেয়।

সেনাপ্রধান ওসিএন্ডএস-এ পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান জিওসি, আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক); জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার, লজিস্টিকস্ এরিয়া কমান্ড্যান্ট, বিওএফ এবং কমান্ড্যান্ট, ওসিএন্ডএস। এ সময় একটি সামরিক অভ্যর্থনার মাধ্যমে সম্মান জানানো হয় সেনাপ্রধানকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের দীর্ঘ ইতিহাস ও দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের বিশেষ অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমাদের বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। নিষ্ঠা ও একাগ্রতাকে পেশাদারিত্বের উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে নতুন সময়ে নতুন সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের দায়িত্ব শুধু সরঞ্জাম সরবরাহ নয়, বরং সামগ্রিক সামরিক লজিস্টিকসের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।

বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় সেনাপ্রধান প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, গবেষণা, সামরিক প্রযুক্তির আপগ্রেডেশন ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের কর্মকর্তা ও সদস্যদের আরো যুগোপযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি দেশের সুরক্ষা ও সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণে কোরের অবদানকে 'অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ' বলে আখ্যায়িত করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিওসি, আর্টডক; জিওসি এবং এরিয়া কমান্ডার, লজিস্টিকস্ এরিয়া; কমান্ড্যান্ট, বিওএফ; এজি; সেনাসদরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কমান্ড্যান্ট, ওসিএন্ডএস; আর্মি অর্ডন্যান্স কোরের বিভিন্ন ইউনিটের অধিনায়কগণ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। সম্মেলন শেষে সেনাপ্রধান কোরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।