অতীতের তামাশার নির্বাচন থেকে বেরিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচন বলতে আমরা অতীতের কিছু নির্বাচনের কথা মনে রাখি—প্রহসনের নির্বাচন, প্রতারণার নির্বাচন, তামাশার নির্বাচন। সেখান থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে যেতে হবে। এই দূরত্বটুকু অতিক্রম করতেই হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ঐতিহাসিক এই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দৈবচয়নের মাধ্যমে ৬৪ জেলার পুলিশ কর্মকর্তা মনোনীত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব যেন না থাকে। নিজে থেকেই নির্বাচন করলে অনেক সময় চেষ্টার পরও পক্ষপাত ঢুকে পড়ে। তাই দৈবচয়নের মাধ্যমে কাউকে সুযোগ না দিয়ে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, এই নির্বাচন শুধু নিয়মিত দায়িত্ব পালন নয়—এটি ইতিহাস গড়ার কাজ। বাইরের পরিদর্শক, পর্যবেক্ষকরা আসবে। তারা খুঁত ধরবে, বলবে—এটা এমন হলে ভালো হতো, ওটা এমন করলে ভালো হতো। কিন্তু আমরা চাই, তারা যেন বলুক—বাংলাদেশের নির্বাচনের মতো নির্বাচন আমরা আর কোথাও দেখিনি। তারা যেন এটিকে বিশ্বদৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরে, বলেন ড. ইউনূস।
তিনি আরো বলেন, এটা সাধারণ কোনো নির্বাচন নয়। পাঁচ বছর অন্তর হওয়া রুটিন নির্বাচন নয়। এটি গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যারা গণঅভ্যুত্থানে শরিক হয়েছিল, তাদের আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই নির্বাচনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।