ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) নির্বাচন করতে প্রথমবারের মতো লটারির আয়োজন করেছে সরকার।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’য় এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন দায়িত্বে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এবার ম্যানুয়াল লটারির মাধ্যমে এসপি চূড়ান্ত করা হয়েছে। লটারির আগে কয়েকদফা যাচাই-বাছাই করা হয়। অতীতে যারা জেলা পুলিশের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৬ ও ২৭তম ব্যাচের উপযুক্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি ‘ফিট লিস্ট’ তৈরি করা হয়। সেখান থেকেই লটারির মাধ্যমে ৬৪ জন কর্মকর্তার নাম নির্ধারিত হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমান ৬৪ জেলার এসপিদের মধ্যে ১৫ জনকে সরিয়ে নতুন ১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে, আর বাকি ৪৯ জনকে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি করা হবে। নতুন ও পুরোনো—এই ৬৪ জন কর্মকর্তাকে নিয়েই লটারির চূড়ান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে গত শনিবার (২২ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির তত্ত্বাবধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় ওই সভায়। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও আইজিপি বাহারুল আলম।
সূত্র আরও জানায়, নির্বাচন পরিস্থিতি বিবেচনায় ৬৪ জেলা এ, বি ও সি—এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি জেলা এ, ২৮টি জেলা বি এবং বাকিগুলো সি ক্যাটাগরিতে পড়ে। প্রতিটি শ্রেণিতে আলাদাভাবে লটারির মাধ্যমে এসপি নির্বাচন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লটারিতে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের দ্রুত সংশ্লিষ্ট জেলায় পদায়ন করা হবে। তারাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন।