দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় চীন কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে বহুল আলোচিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কাজ করতে তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ করার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রস্তাবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তদারক করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনেও সব ধরনের সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া আগামী ৫০ বছরে পানির চাহিদা পূরণেও চীন সরকার বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

IMG-20250330-WA0239

সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সফরে গত ২৬ মার্চ চীনে পৌঁছান। সেদিন বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনাসহ উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয় দেশটির সরকার। পরদিন ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ড. ইউনূস। এদিন বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে অংশ নেন ড. ইউনূস। একই স্থানে টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ টু পয়েন্ট জিরো উৎপাদন ও বাজার সুযোগ, সামাজিক ব্যবসা ও যুব উদ্যোক্তা এবং তিন শূন্যের বিশ্ব–এই তিনটি বিষয়ের ওপর তিনটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলের নির্বাহী উপ-প্রধানমন্ত্রী ডিং জুয়েশিয়াং, চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গোইয়িং, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি ওভারচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) চেয়ারম্যান বান কি-মুন সাক্ষাৎ করেন। চার দিনের সরকারি সফর শেষে শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে ফেরেন। প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।