আজ ৫ আগস্ট, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক বছর পূর্তি। এই উপলক্ষে বিকেল ৫টায় ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে পাঠ করা হবে বহুল প্রত্যাশিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘিরে সকাল থেকে শুরু হয়েছে নানা আয়োজন—সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বিশেষ ড্রোন শোসহ রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি। সকাল থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ভিড় জমিয়েছে সাধারণ মানুষ। যদিও বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানের শুরুর কথা ছিল, শুরু হতে সামান্য দেরি হচ্ছে।

পুরান ঢাকা থেকে আসা রাকিবুল ইসলাম বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র শোনার জন্য সকাল থেকেই অপেক্ষা করছি। এই দিন ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে নতুন সূচনা হয়েছিল। স্মরণীয় করে রাখতে আজকের এই আয়োজন।”

সাভার থেকে আগত রিয়াজুল বাশারের ভাষায়, “৩৬ জুলাইয়ের লাগাতার আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ। আজ তাই ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।”

অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইবনে মিজান জানান, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ইউনিফর্মধারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দারাও কাজ করছে। র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খালিদুল হক হাওলাদার জানান, এলাকায় উচ্চ ক্ষমতার সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং পর্যাপ্ত র‌্যাব সদস্য মোতায়েন আছে।

বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন, যা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা, দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে ‘ফ্যাসিস্ট পতন উদযাপন’, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশেষ ড্রোন শো এবং রাত ৮টায় জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেলের গান।

এ উপলক্ষে বিপুল জনসমাগমের কারণে জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।