নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রতিটি অপরাধ ও দুর্নীতির সঙ্গে রাজনীতির যোগসূত্র থাকে। শীর্ষ পর্যায়ে দুর্নীতি রেখে সামগ্রীকভাবে দেশকে ভালো করা সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুদকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স এগেইনস্ট করাপশনের (র‌্যাক) সাংবাদিকদের এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রতিষ্ঠানে। রাজনীতিবিদরা স্বচ্ছ না হলে দুর্নীতি মুক্ত হওয়া সম্ভব না। তাই আপনারা সাংবাদিকরা এখন থেকেই আওয়াজ তুলতে পারেন যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দুর্নীতিবাজকে মনোনয়ন না দেওয়া হয়। নির্বাচনে যাতে নমিনেশন বেচাকেনা না হয়।

আবদুল মোমেন বলেন, আমরা জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সৎ লোককে চাই। তাই এলাকার সৎ লোকটিকে যেন মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদেরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

গণমাধ্যমকে প্রধান হুইসেল ব্লোয়ার আখ্যা দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের কাজের ৭০ ভাগ আসে গণমাধ্যম থেকে। হয়তো আমরা সরাসরি নেই না, তবে গণমাধ্যম থেকেই আমরা ইঙ্গিত পাই। তারপর সেটি নিয়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করে। আমাদের কাজে সাংবাদিকদের সহায়তা লাগবে। আপনারা সাংবাদিকরা যদি আজকে বলেন, আপনারা আর আমাদের সঙ্গে নাই তাহলে দুদক কলাপস করবে।

দুদক চেয়ারম্যানবলেন, জাতীয় নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থীদের তথ্য পেলে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ পলাতক দুর্নীতিবাজদের দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানো কঠিন হলেও দুদকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কর্মশালায় দুদকের মহাপরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, মোতাহার হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল জাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।