শারদীয় দুর্গাপূজার চার দিনের ছুটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে হাজারো মানুষ। এতে বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ করে কাঁচপুর থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব, নরসিংদী ও আড়াইহাজার এলাকায় যান চলাচল ছিল অত্যন্ত ধীরগতির। এতে যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, ছুটির কারণে সড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ি উঠেছে। এর সঙ্গে বৈরী আবহাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। যানজট নিরসনে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও চাপে নিয়ন্ত্রণে সময় লাগছে বলে জানান তিনি।
যাত্রীরা বলছেন, সাধারণ দিনে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা টোলপ্লাজা যেতে আধা ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু বুধবার একই দূরত্ব পাড়ি দিতে লেগেছে তিন থেকে চার ঘণ্টা।
নারায়ণগঞ্জগামী যাত্রী সুকুমারী ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রতি বছর পূজার সময় গ্রামে যাই। তবে এবার এমন যানজটের মধ্যে পড়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি, কখন পৌঁছাবো তা বলা মুশকিল।’
অন্যদিকে বাসযাত্রী সোহেল মিয়া জানান, ‘সিলেট যেতে সাধারণত ছয়-সাত ঘণ্টা লাগে। কিন্তু সকাল থেকে রওনা দিয়ে এখনো নরসিংদী পার হতে পারিনি।’
ট্রাকচালক সাদেক মিয়ার অভিযোগ, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচ বাড়ছে, আবার মালিকদের চাপও সামলাতে হচ্ছে।’
হাইওয়ে পুলিশের দাবি, সড়কে চাপ কমতে শুরু করলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।