কুতুবদিয়ার সুরক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মঙ্গলবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকাস্থ কুতুবদিয়ার সংগঠন দ্বীপশিখা কতৃক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কুতুবদিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া মহেশখালীর সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আজাদ এবং আলমগীর ফরিদ। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব মনজুরুল আনোয়ার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ব্যরিষ্টার হানিফ, সাবেক চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এবং এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ সুজা উদ্দিন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দ্বীপশিখার প্রধান উপদেষ্টা মোমেন আকসা। আরও উপস্থিত ছিলেন দ্বীপশিখার উপদেষ্টা আদিল চৌধুরী, প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসাইন, জজ ইয়াসিন আরাফাত, ইয়াসির আরাফাত সহ আরও অনেকে।
মানববন্ধনের শুরুতে ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মানবন্ধনে হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে এসে এভাবে কুতুবদিয়া বিলীন হয়ে যেতে পারে না। ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের পুনরাবৃত্তি হতে দিতে পারি না। ওনি সরকারের আশু সুদৃষ্টি কামনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান।
আলমগীর ফরিদ বলেন, শুধু মহেশখালীতে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করলে হবে না। কুতুবদিয়া টিকে না থাকলে মহেশখালীর সব উন্নয়ন ভেসে যাবে। অতএব দ্রত সময়ের মধ্যে কুতুবদিয়ার আপামর জনসাধারণের দাবি টেকসই বেড়িবাঁধ বাস্তবায়নের প্রতি জোর দাবি জানান"। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব জনাব মনজুরুল আনোয়ার নৌপরিবহন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান পূর্বক দ্রুত সময়ে দাবি আদায়ের আশ্বাস প্রদান করেন। এরপর উপস্থিত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হৃদয়স্পর্শী গান পরিবেষণ করা হয়।
সর্বশেষে কুতুবদিয়ার জনগণের পক্ষ থেকে দ্বীপশিখার বর্তমান কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মানববন্ধন ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
আমাদের দাবি হচ্ছে : (১) অবিলম্বে কুতুবদিয়ার চারপাশে টেকসই, মানসম্পন্ন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। (২) বেড়িবাঁধের জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও জরুরি সংস্কারের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করতে হবে। (৩) ভূমির ক্ষয়রোধে বনায়ন তথা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। (৪) উপকূলীয় জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় জরুরি বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। (৫) উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় আলাদা তহবিল এবং জাতীয় জরুরি সুরক্ষা প্রকল্প চালু করতে হবে। (৬) কুতুবদিয়ার দক্ষিনে মাতারবাড়ী প্রকল্পের প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল পানির ধাক্কা কুতুবদিয়ার উপর যেনো না পড়ে, সেই জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।