এক ঠিকানায় সব নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের উদ্যোগ ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ এর জন্য রেজিস্ট্রেশন আহ্বানের পর এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩৫২ জন ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
শনিবার (১৭ মে) আগারগাঁওয়ের ডাক ভবনে 'নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা জেলার বাছাইকৃত ৬০ জন উদ্যোক্তাকে নিয়ে আয়োজিত চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য জানান।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ওয়েব সাইটের নাগরিক ও এজেন্টের তথ্যের সুরক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব সিকিউরিটি যুক্ত করার পাশাপাশি অন্যান্য সিস্টেমের সাথে ইন্ট্রিগেশনের জন্য প্রয়োজনীয় এপিআই তৈরি ও সরবরাহ শুরু হয়েছে। উদ্যোক্তাদের প্রোফাইল আপডেটে প্রয়োজনীয় ফিচার সংযুক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
নাগরিক সেবার মোবাইল অ্যাপ বিষয়ক অগ্রগতি সম্পর্কে বিশেষ সহকারী বলেন, ‘মোবাইল অ্যাপের সাথে কানেকশনের জন্য এপিআই তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। ডেভেলপার টিমের সাথে মোবাইল অ্যাপের ডিজাইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং নাগরিক সেবার অ্যাপের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা মোবাইল অ্যাপের ডেভেলপমেন্ট কার্যক্রম শুরু করেছেন।’
এপিআই ইন্ট্রিগ্রেশনের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশেষ সহকারী জানান, নাগরিক সেবা ও অন্যান্য সিস্টেমসমূহের সাথে এপিআই এর মাধ্যমে ইন্ট্রিগ্রেশনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ (যেমন: রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, ভূমি মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পুলিশ - অনলাইন জিডি) -এর সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট, টেকনিক্যাল ও সংশ্লিষ্ট ভেন্ডর পর্যায়ে একাধিক মিটিং এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর বাইরে মাইগভ এর সেবাসমূহ নাগরিক সেবা প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রদানের জন্যে এপিআই এর মাধ্যমে ইন্ট্রিগ্রেশনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ সার্ভিস ইন্ট্রিগেশন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই সকল বৈঠক ও কর্মশালার ভিত্তিতে, এপিআই ইন্ট্রিগ্রেশনের মাধ্যমে নাগরিক সেবায় যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নাগরিক সেবায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে এবং কেবল চিঠি প্রাপ্তির অপেক্ষায় থাকা কাজগুলো ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা সর্বাত্মক সহায়তা করছেন। যেমন: তাদের বিদ্যমান সিস্টেম প্রদর্শন, ইন্ট্রিগ্রেশনের সম্ভাব্য পরিকল্পনা, তাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় করণীয় তালিকা প্রস্তুত, কোন কোন এপিআই শেয়ার করতে হবে তার কাঠামো নির্ধারণ ইত্যাদি।
প্রশিক্ষণ বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, নাগরিক সেবা উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ মোট ৪ কার্যদিবসে অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী ৬৫ জনের মধ্যে ২২ জন নারী রয়েছেন। এর মধ্যে ১২টি হ্যান্ডস অন প্রশিক্ষণ সেশন রয়েছে। এক্সটার্নাল প্রশিক্ষক আছেন ১৪ জন। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে একদিনের হাতে-কলমে/ফিল্ড ভিজিট করা হবে। চারদিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের অর্জিত জ্ঞান মূল্যায়নের জন্য একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারীদের সনদপত্র প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহার আগেই দ্বিতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।