ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান রাতে বাসায় ফিরেছেন। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, ডাক্তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। ৯টা ১৫ মিনিটে ডাক্তার রিলিজ প্রদান করায় তিনি বাসায় চলে গেছেন।
এর আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে সভাপতির সমাপনী বক্তব্য দিচ্ছিলেন দলের আমির শফিকুর রহমান। বক্তব্যের এক পর্যায়ে হঠাৎ তিনি পড়ে যান। নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় উঠে দাঁড়ালেও আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে যান তিনি। পরে বসেই নিজের বক্তব্য শেষ করেন জামায়াত আমির। ভিডিওতে দেখা গেছে বসে দেওয়া বক্তৃতাকালে জামায়াতে আমীরের শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার জন্য। আবার রক্তচাপও মাপা হয়। কেউ কেউ বক্তৃতা আর না দেওয়ার অনুরোধ করেন। আবার কেউ কেউ পানি পান করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি সেদিকে খেয়াল না করে বক্তৃতা চালিয়ে যান।
গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে বিকেল পাঁচটার পর সমাপনী বক্তব্য দিতে ওঠেন দলের আমির শফিকুর রহমান। ডায়াসে দাঁড়িয়ে বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। জামায়াত যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বে, তার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে...।’
এ কথা শেষ করার আগে তিনি পড়ে যান। এসময় পেছনের মঞ্চে বসে থাকা নেতারা দৌড়ে আসেন এবং জামায়াত আমীর করে ধরে তোলেন। এসময় মাইকে ঘোষণা করা হয়, আপনারা অবস্থান করুন যার যির জায়গায়। সবাই নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান করেন। তিনি আবার দাড়িয়ে মাইক্রোফোনের কাছে আসেন এবং বলেন, আল-হামদুল্লিাহ শোকরান, আলহামদুল্লিাহ কাছিরান। সম্মানিত ভাইয়েরা আমি আল্লাহ তায়ালার শোকরিয়া আদায় করি। আবার আপনাদের সামনে দাড়াতে পেরেছি। আমি বলেছিলাম, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়বো। আমরা কথা দিচ্ছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যদি জনগণের ভালবাসা নিয়ে সরকার গঠন করে, তাহলে----।
একথা বলা শেষ করতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয়বার তিনি অসুস্থ হয়ে নিচে বসে পড়েন। এ সময় মাইকে বলা হয়, আমিরে জামায়াত একটুখানি অসুস্থ হয়েছেন গরমের কারণে। কিন্তু তিনি বারবারই চেষ্টা করছিলেন বক্তব্য দেওয়ার জন্য। ডাক্তাররা বলছেন, তাঁর আর বক্তব্য রাখা ঠিক হবে না।
এর কিছুক্ষণ পর জামায়াতের আমির কার্পেটে বসেই আবার বক্তৃতা শুরু করেন। এবং বক্তৃতা শেষ করেন। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, তত সময় মানুষের জন্য লড়াই করব, ইনশা আল্লাহ। এ লড়াই বন্ধ হবে না। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই অব্যাহত থাকবে।