জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামার ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ আগস্ট) আগারগাঁওস্থ ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবে আলেম সমাজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবদান জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আলেমদের নেতৃত্বে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
তারা আরো বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা শুধু মসজিদের মিম্বরেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং রাস্তায় নেমে তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি গণআন্দোলনই নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পুনর্জাগরণ। ইসলামের ন্যায়পরায়ণতা ও নৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে, আলেম সমাজ সে সময় গণআন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বর্তমান সময়েও এই ঐক্য ও সচেতনতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আ. ছালাম খান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের পরিচালক এসএম তরিকুল ইসলাম, পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ, পরিচালক মো. রেজ্জাকুল হায়দার, মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান ও এম এ বারী।
অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিচালক মো. মহিউদ্দিন।
আলোচনা সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।
শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী।