DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

জাতীয়

রাজনৈতিক অনৈক্যের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়িত না হওয়ার আশঙ্কা

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কয়েকটি সংস্কার কমিশন সুপারিশসহ রিপোর্ট দিলেও সেগুলোর কতটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিংবা আদৌ হবে কি না অথবা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে- তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার
Printed Edition

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কয়েকটি সংস্কার কমিশন সুপারিশসহ রিপোর্ট দিলেও সেগুলোর কতটা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিংবা আদৌ হবে কি না অথবা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে- তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে। কিছু কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আর কিছু সুপারিশ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়ন করতে পারলেও গত পাঁচই অগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশে যা কিছুই হচ্ছে সবই আগামী সংসদে অনুমোদন করাতে হবে। ফলে অনেকের মধ্যে এই সংশয়ও আছে সংস্কার বিষয়ক সব সুপারিশ পরবর্তী সংসদ নাও গ্রহণ করতে পারে। রাজনৈতিক দল, বিশ্লেষক ও সংস্কার কমিশনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের কেউ কেউ বলছেন, সুপারিশগুলো সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে কিংবা তাদের মধ্যে যদি ন্যূনতম ঐকমত্য না হয়, তাহলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সুপারিশ শেষ পর্যন্ত ‘কাগজেই থেকে যেতে পারে’।

প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দৈনিক সংগ্রামকে জানিয়েছেন কি সংস্কার হবে বা কতটা সংস্কার হবে তা ঠিক করবে কেবলমাত্র সংসদ ও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। তবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে যেটুকুর সংষ্কার প্রয়োজন সেটা করতে হবে। সেই সংষ্কার বাস্তবায়নে বেশি সময় নেয়া যাবে না।

দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ে সংস্কার কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ডঃ ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমের কাছে বলছেন, রাজনৈতিক দল ও সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্রের ওপরই নির্ভর করবে শেষ পর্যন্ত এগুলোর কিছু বাস্তবায়ন হবে কি না। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান বিবিসিকে বলেছেন, সামগ্রিক সংস্কার ইস্যুর ভবিষ্যতটা শেষ পর্যন্ত জনগণের ম্যান্ডেটের ওপর নির্ভর করবে।

সূত্র মতে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার জের ধরে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংস্কার ইস্যুটি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসলেও শেষ পর্যন্ত দলগুলোর মধ্যকার গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে তা খুব একটা বাস্তবায়ন হয়নি। তখন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (রিপ্রেজেন্টেটিভ পিপলস অর্ডার ১৯৭২) বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হলেও নির্বাচনী কার্যক্রমে তার যথাযথ প্রয়োগ কখনোই হয়নি বলে অভিযোগ আছে। আবার ২০২৩ সালে এর যে সংশোধনী আনা হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছিলো বলেও অনেকে মনে করে থাকেন।

কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সরকারকে সময় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বলেছেন, সংস্কার না হলে আমরা কোন তিমিরে থাকবো সেটা ভাবুন। সবাই জানেন কিসের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এখানে এসেছি। একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গা থেকে আমরা আলোর দিকে ধাবিত হচ্ছি। সেই জায়গায় যদি সমাজের যারা আছেন, তারা ধৈর্য ধরে একসঙ্গে মিলে সংস্কারের পথটা তৈরি না করি, তাহলে এর ভিত্তিতে আমরা নির্বাচন, সংস্কার যাই করি না কেন সবই কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। প্রতিটি কাজের যুক্তির জায়গা থেকে, বিজ্ঞানের জায়গা থেকে একটি ন্যূনতম সময় না পেলে সেটি করা যায় না। সেই জায়গা থেকে সরকারকে সময়টুকু দিতে হবে। সেটা যদি দেওয়া যায়, তাহলে কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কার হবে। আর যদি না দেওয়া যায়, সেটা যদি রাজনৈতিক কারণে না হয়, তাহলে সেটার দায় রাজনীতিতে যারা আছেন তাদের নিতে হবে এবং আমাদেরও নিতে হবে।

সূত্র মতে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কয়েকটি ‘সংস্কার কমিশন’ বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন ও পুলিশ সংস্কারে বড়সড় পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে কমিশনগুলো। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র সংস্কারে মোট দশটি কমিশন গঠন করা হলেও এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে সংবিধান ও নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়গুলো। সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিশন কাজ শুরুর পর পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, আনুপাতিক হারে ভোটের বিধান, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চালু, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোসহ সংবিধানে বড়সহ বেশ কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ এসেছে বলে তারা জানিয়েছে। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছিল তা বন্ধে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন পরিবর্তন, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিধান চালু, ইভিএম বাতিলসহ বেশ কিছু আইনে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন।

কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, আমরা যে সব বিষয় সংস্কারের কাজ শুরু করেছি সেটি বাস্তবায়ন করা গেলে আগামীতে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে এগুলোর বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐক্যমত প্রয়োজন।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ সম্প্রতি গণমাধ্যমে বলেছেন, আমরা চেষ্টা করবো যাতে আমাদের প্রস্তাবনাগুলোয় সামঞ্জস্য থাকে। পরস্পরবিরোধী না হয়। সেই বিবেচনায় থেকে সেই কাজ করবো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত এসব প্রস্তাবনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সায় না মিললে এই উদ্যোগ কতখানি সফল হবে সেটি নিয়েও প্রশ্ন দেখা যাচ্ছে। যদিও জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলো সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। পরে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের যে সংবিধান রয়েছে সেটি যে কোন সরকারকে স্বৈরাচারী করে তুলতে পারে। যে কারণে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে নানা সংস্কার প্রস্তাবও এসেছে। সংস্কার কমিশন এর মধ্যে যেসব পরামর্শ পেয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালু, সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু, আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতা কমানোসহ এক ব্যক্তিকে দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না রাখার বিষয়টি সংবিধানে যুক্ত করতেও পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলো হয়তো শেষ পর্যন্ত কিছু কিছু প্রস্তাবে একমত নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি ওই সব প্রস্তাবের পক্ষে তাদের সমর্থন জানায় তাহলেই সে সব সংস্কার প্রস্তাব গুরুত্ব পাবে এই সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে।

সূত্র মতে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া তিনটি জাতীয় নির্বাচন ও বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে দেশে নির্বাচন নিয়ে এমন অনাস্থা-সংকট ও স্বৈরাচারী প্রথা গড়ে উঠেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। যে কারণে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করতে দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথ খুঁজছে কমিশন।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. আব্দুল আলীম গণমাধ্যমে বলেন, বলা হয়ে থাকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ভোটের সময় সরকার যদি ইসির কথা না শোনে তাহলে এ নিয়ে কিছু বলা নেই সংবিধান কিংবা আইনে। এই সংস্কার কমিশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করা, সীমানা নির্ধারণ আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করার বিষয়েও একমত হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে পুলিশের নানা কর্মকা- সাধারণ মানুষের কাছে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিষয়টিকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের পুলিশি কাঠামো ঢেলে সাজানোর কথা বলছে। আইনি কাঠামো সংস্কার, পুলিশের জবাবদিহিতা, পেশাদারি দক্ষতা বৃদ্ধি, জনকল্যাণমূলক কাজে পুলিশের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, পুলিশের অপকর্ম রোধে নানা প্রস্তাবনাও এসেছে।

সাবেক আমলা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনও গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ওয়েব সাইটে নাগরিকদের কাছে প্রশ্ন দিয়ে জনপ্রশাসনের কি কি জায়গায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন সে বিষয়ে মতামত সংগ্রহ করছে। অনেকে জনপ্রশাসনে দুর্নীতি বন্ধে উদ্যোগ নেয়া, সরকারি চাকরিতে নিয়োগে স্বচ্ছতা, প্রশাসনে বিকেন্দ্রীকরণে উদ্যোগ, বদলি কিংবা পদায়নে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মানার মতো বিষয়গুলোও উঠে এসেছে।

সংস্কারে জনগণকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের পক্ষে। এটুকু বলতে পারি, আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কারের পক্ষে কাজ করেছি, করব। আমরা মনে করি, জনগণকে বাদ দিয়ে ওপর থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এর জন্য যত বেশি সময় যাবে, আমাদের কাছে মনে হয়, সমস্যাগুলো তত বাড়বে। এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনার সেই প্রশাসন, সরকারের মেশিনারি তো পুরোপুরিভাবে এখনো ফ্যাসিবাদের মধ্যে আছে। এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। কাঠামোটা যদি না থাকে, শুধু ওপর থেকে চাপিয়ে দিলেই আমরা দ্রুত কোনো কিছু করতে পারব না। তাই আমাদের কাঠামোটা ঠিক করতে হবে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে।

সংস্কার বিশাল ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি একটি সেমিনারে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সবকিছু সংস্কার করা সম্ভব নয়। এর জন্য সময়ের প্রয়োজন। সরকারকে সেগুলো সম্পন্ন করার সুযোগ দিতে হবে, তারপরই একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। সেই নির্বাচনের জন্য সংস্কারের যুক্তিসংগত সময় যতটুকু লাগে, আমরা জামায়াতে ইসলামী অন্তর্বর্তী সরকারকে সেটি দিতে প্রস্তুত আছি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চিন্তার পার্থক্য থাকবেই। না হলে দেশে একটা দলই থাকত। কিন্তু কমন ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে আমরা অনেক সময় হীনম্মন্যতা দেখি। জাতির কোনো কমন ইস্যুতে ঐক্য করতে কিছু ছাড় দিতে হয়, আমাকে কিছু মতের স্যাক্রিফাইস করতে হয়, সেটাতে আমরা ছাড় দিতে রাজি নই। এখনো ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে বলে মনে করেন তিনি।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান একটি অনুষ্ঠানে বলেন, এবার সংস্কার প্রশ্নে পিছপা হলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। একই অনুষ্ঠানে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেউ কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবা ঠিক নয়।

লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ঐক্যে ফাটল না হলেও আঁচড় লাগছে। সংস্কারের প্রশ্নে সম্ভবত এখনো ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সংস্কার নিয়ে সবাই যে একমত হবেন, এমন কোনো কর্মসূচিও নেই। তাই আমরা বলি, কমপক্ষে কতটুকু সংস্কার না হলে নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব নয়।

গত সপ্তাহে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের কপি পাঠানো হয়েছে। সংষ্কার প্রশ্নে সবার মতামত নেয়া হবে।