# বৈঠককে ঐতিহাসিক বললেন তারেক রহমান

# শিগগিরই নির্বাচন কমিশন তারিখ ঘোষণা করবে

সব প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ২০২৬ সালের রমযান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানানো হয়। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি যৌথ সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও জানানো হয়, শিগগিরই নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের একটি তারিখ ঘোষণা করবে। বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষের প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকের বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমযানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেন ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমযান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।

লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন। এসময় তারেক রহমানকে হাসিমুখে বের হতে দেখা গেছে। তারেক রহমানরে সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। বৈঠকে অংশ নিতে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় বাসা থেকে বের হন তারেক রহমান। দুপুর ২টায় তিনি ডরচেষ্টার হোটেলে প্রবেশ করেন।

বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমযানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। তিনি (তারেক রহমান) এও উল্লেখ করেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও মনে করেনÑওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়।

এমন প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমযান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এই অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও আবার নির্বাচনের তারিখ প্রসঙ্গে কী আলোচনা হলো জানতে চান সাংবাদিকরা। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনি রোডম্যাপে নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সমস্যা কোথায় ? এর জবাবে ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘এতে কোনও সমস্যা নেই। আমরা কোনও সমস্যা দেখি না। কেউ দেখলে ভুল দেখছেন। নির্বাচন সম্পর্কে যৌথ বিবৃতিতে আমরা বলে দিয়েছি এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আমরা আশা করবো, শিগগিরই তারা একটা তারিখ ঘোষণা করবে।

বৈঠকে শুধু নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে, নাকি রাজনৈতিক অন্যান্য বিষয়েও কথা হয়েছে জানতে চাইলে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সব বিষয়ে আলোচনা হওয়া স্বাভাবিক। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমরা চাই, দেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটি করবো। শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরেও বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আমরা সবাই ঐক্যমত হয়েছি, তা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

সংস্কার নিয়ে বর্তমান সরকার যে রূপরেখার তালিকা দিয়েছে Ñ সেটি নিয়ে বিএনপি কী ভাবছে জানতে চাইলে আমির খসরু বলেন, ‘এটা পরিষ্কার, এখানে না বোঝার কোনও কারণ নেই। সংস্কার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সাহেব, তারেক রহমান সাহেবÑ সবাই একই কথা বলছেন। যে বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলোতেই তো সংস্কার হবে, তাই না? সংস্কারের বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া। এমন না যে সব সংস্কার এখনই শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচনের আগে কিছু সংস্কার হবে, নির্বাচনের পরেও কিছু সংস্কার অব্যাহত থাকবে।

এসময় তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমির খসরু বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যেকোনও সময় দেশে ফিরতে পারেন। সুতরাং এটার সিদ্ধান্ত উনি নেবেন সময়মতো।

এপ্রিলের ঘোষিত নির্বাচনি রূপরেখা থেকে অন্তর্বর্তী সরকার সরে আসছে কিনাÑ জানতে চাইলে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়টা সুস্পষ্ট বলা আছে। যদি সব কাজ আমরা সময়মতো করতে পারি, বিচার এবং সংস্কারের ব্যাপারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়, তাহলে নিশ্চয় সেটা করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়ে উভয়পক্ষই সস্তোষ প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট। আমরা তো বলছি, নির্বাচনের আগেই না, নির্বাচনের পরেও দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো। আর সন্তুষ্ট না হলে যৌথ ঘোষণা আসতো না।

এসময় জুলাই সনদ নিয়ে ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠকে কোনও আলাপ হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএনপি নেতা আমির খসরু বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা চলছে দেশে। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে এবং সংস্কারের বিষয়েও আমাকে একই উত্তর দিতে হয়, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার এবং জুলাই সনদ হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটি হবে।

আলাপের আগের আলাপ :

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল আলোচিত বৈঠকের শুরুতেই দেখা গেলো উভয়ের মাঝে এক উষ্ণ সৌজন্য বিনিময়। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় লন্ডনের পার্ক লেনের হোটেল ডোরচেস্টারের বৈঠক রুমে প্রবেশ করেন তারেক রহমান। তখনই কয়েক কদম এগিয়ে এসে তাকে স্বাগত জানান ড. ইউনূস। এই সংক্ষিপ্ত সময়েই দু’জনের মধ্যে হয় একটি আন্তরিক হালকা আলাপচারিতা। হোটেলে প্রবেশ করে তারেক রহমান এগিয়ে এসে প্রথমেই বলেন, ‘কেমন আছেন?’ ড. ইউনূস উত্তরে হেসে বলেন, ‘হ্যাঁ, ভালো আছি।’ এরপর তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগলো।’ তারেক রহমানও সাড়া দিয়ে বলেন, ‘আমারও ভীষণ ভালো লাগছে, আই ফিল অনার্ড। আপনার শরীর ভালো আছে ?’ উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, ‘চলছে... টেনেটুনে চলছে।’ তারেক রহমান বলেন, ‘আম্মা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন।’ ড. ইউনূস জবাব দেন, ‘উনাকেও আমার সালাম জানাবেন।’ এ সময় লন্ডনের আবহাওয়া নিয়ে কথা বলেন তারা। ড. ইউনূস বলেন, ‘আজকের আবহাওয়াটা খুব ভালো। একটানা এ রকম পাওয়াটা...’ তারেক রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, দুপুর নাগাদ সম্ভবত আরেকটু গরম পড়বে।’ ড. ইউনূস বলেন, ‘ইনজয় করেছি। সামনে পার্ক আছে।’ তারেক রহমান জানতে চান, ‘আপনি গিয়েছিলেন?’ ড. ইউনূস বলেন, ‘হ্যাঁ, গিয়েছিলাম।’ তারেক রহমান বলেন, ‘একটা জিনিস এখানে খুব ভালো, হাঁটার অনেক জায়গা আছে।’ এরপর আরও কিছুক্ষণ সকলের সামনে আরও হালকা আলাপ করেন উভয়ে।

অধ্যাপক ইউনূসকে তারেক রহমানের উপহার :

বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূসকে দুটি বই ও একটি কলম উপহার দেন তারেক রহমান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেওয়া উপহারের দুটি বই ও একটি কলমের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। উপহারের বই দুটির মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিখ্যাত জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের ‘নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেইক এ ডিফরেন্স’। বইটি গ্রেটা থুনবার্গের প্রথম ইংরেজি বই, যা বিশ্বজুড়ে জলবায়ু সমাবেশ থেকে জাতিসংঘ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে দেওয়া তার বক্তব্যের সংগ্রহ। উপহারের অন্য বইটি হলো, ‘নেচার ম্যাটারস: ভাইটাল পোয়েমস ফ্রম দ্য গ্লোবাল মেজরিটি’। এটি একটি নির্বাচিত কবিতা সংগ্রহ, যা প্রকৃতি এবং পরিবেশবিষয়ক কবিতাগুলোকে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করে। এই সংগ্রহে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির কবিদের লেখা কবিতা স্থান পেয়েছে।

বৈঠকটি ছিল ঐতিহাসিক, বললেন তারেক রহমান

প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডনের পার্ক লেনের হোটেল ডরচেস্টারে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। চার দিনের সফরে এই হোটেলেই অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা। এর আগে ওই হোটেলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্তে বৈঠকে বসেন তারেক রহমান। একান্তে বৈঠক হওয়ার আগে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবীর। আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান :

শুক্রবার লন্ডনে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি প্রধানের বৈঠক শেষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন শিগশিগরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। এর আগে গত ১০ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,'শিগগিরই তারেক দেশে ফিরবেন।

হোটেলের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্লোগান :

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাতে স্থানীয় সময় সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা পার্ক লেনের ডরচেষ্টার হোটেলের সামনে অবস্থান নেন। হোটেলে তারেক রহমান প্রবেশের সময় বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীরা।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম লন্ডনে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই বৈঠকের কোনো ফরমেট নেই। যেহেতু তারেক রহমান বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতা, তাই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মিটিংটি হবে।