বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সৎ নেতৃত্ব ও আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন চায়। জনগণ আমাদেরকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে চাঁদাবাজিমুক্ত সমাজ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করবো ইনশাআল্লাহ। তিনি আগামী নির্বাচনে সকল সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর ধরে জামায়াত, ছাত্রশিবির ও বিএনপির ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। তারপরও কোনো কিছুতেই জামায়াতে ইসলামী থেমে থাকেনি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নতুন বাংলাদেশ গড়বে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইনসাফভিত্তিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে কোনো ধর্ম-বর্ণের বৈষম্য থাকবে না। এ সময় তিনি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন দেয়ার জন্য ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার গণজোয়ার সৃষ্টির আহ্বান জানান। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনা-৬ আসনের পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির মানিকতলা বাজার, রামনগর, নাথপাড়া, পোদ্দারপাড়া, ঋষিপাড়া, প্রামাণিকপাড়া, কাশিমনগর, দুব্বোডাঙ্গা, রেজাকপুরের সাধারণ মানুষ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় পাইকগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা বুলবুল আহমেদ, সেক্রেটারি মো. আলতাফ হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা শেখ আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ সভাপতি মাওলানা শেখ কামাল হোসেন, কপিলমুনি ইউনিয়ন আমীর মো. রবিউল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. রুহুল কুদ্দুস, বায়তুলমাল সেক্রেটারি জাকির হোসেন, ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বি এম ইমরান নাজির, ডা. সুশান্ত, সরজিৎ পরামানিক, সুকুমার পরামানিক, কালিদাস, বিধান, চৈতন্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোয়া ১৪ শ’ বছর আগে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মহামানব আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় যে ইসলামিক স্টেট করেছিলেন তা আজকে সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। রাসুল (সা.) এর আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। রাসুলের আদর্শকে বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় নিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে হায়াতে বাঁচিয়ে রাখেন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে আগামীদিনে ইসলামের পক্ষে লড়াই করব। এদেশে কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। এই জন্য দাড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদেরকে নির্বাচিত করে কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি বলেন, একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ‘আল্লাহ আইন চাই এবং সৎ লোকের শাসন চায়। এ দেশে আইনের শাসন বাস্তবায়ন করতে হলে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য কারো দ্বারা সম্ভব নয়।