জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৬ বছর পর এবার আমরা সকলেই নির্বিঘ্নে ঈদ পালন করতে পেরেছি। অথচ অতীতে ঈদের দিনেও আমাদেরকে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। জুলাই গণহত্যার বিচার ও মৌলিক সংস্কারের আগে তড়িগড়ি করে নির্বাচন জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের সাথে উপহাসের শামিল। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্টদের পতনের কারণেই আমরা মুক্ত পরিবেশে ঈদ পালন করতে পেরেছি। নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালন করতে পেরেছি। নির্বাচনের জন্য আওয়াজ তুলে ধরতে পেরেছি। বাংলাদেশের সবুজ ভূখন্ডে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়দীপ্ত কাফেলা হিসেবে জামায়াত দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। একদল সৎ দক্ষ দেশপ্রেমিক তৈরির মাধ্যমে জামায়াত সমাজকে পরিবর্তন করতে চায়। জামায়াতের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি গত শুক্রবার রাতে নগরীর দক্ষিণ সুরমার কায়েস্তরাইল এলাকায় সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার ২৫নং ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। ওয়ার্ড সভাপতি এম.এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জাবেদ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক ও সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু, সিলেট মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাস রমযানের পর ঈদুল ফিতর উদযাপনের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহের ঘরে আনন্দময় দিন অতিবাহিত হয়েছে। রমযান বিদায় নিলেও এর শিক্ষা বাকী মাসে প্রয়োগ করতে হব। কুরআন হাদীসের আলোকে সমাজকে বদলাতে আগে নিজেকে বদলাতে হবে। রমযানের শিক্ষার আলোকে নিজেকে আল্লাহর খাঁটি গোলামে পরিণত করতে হবে। তাহলে ইহকাল-পরকালে কল্যাণ নিশ্চিত হবে। জুলাই বিপ্লবে শাহাদাতবরণকারী ও আহত ভাই-বোনেরা আমাদেরকে এই পরিবেশ উপহার দিয়েছেন। তাদের প্রতি দোয়া ও কৃতজ্ঞতা। ঈদের সময় আমরা সকল শহীদ ও আহতদের পরিবারের বাসা-বাড়ীতে গিয়েছি, তাদের প্রতি সহানুভুতি জানিয়েছি।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ সুরমা থানা আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি কাজী জাফর আহমদ, পেশাজীবি থানা-১ এর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির রিপন, মহানগর শ্রমিক কল্যাণের সহ-সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন আলমগীর, সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো: নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ সুরমা পশ্চিম থানা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুফুর রহমান আব্বাস, ২৫নং ওয়ার্ড জামায়াতের সহ-সভাপতি সামস উদ্দিন রফিক, সহ-সভাপতি আনসার উদ্দিন, ২৬নং ওয়ার্ড সভাপতি এস.এম মুছা আহমদ, সেক্রেটারী আব্দুস সোবহান, ২৫নং ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যাণের সভাপতি আহমেদ আলী রিমন, কায়েস্থরাইল ইউনিট পরিচালক হাসানুর রহমান শিমুল, মোমিনখলা ইউনিট সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, দাউদপুর ইউনিট সেক্রেটারী মাহমুদুল আমীন মামুন। ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন দিশারী শিল্পী গোষ্ঠীর সাবেক সংগীত বিভাগের পরিচালক হেলাল আহমদ।