আগামী নির্বাচনকে চ্যালঞ্জে হিসাবে গ্রহণ করে ইসলামী আন্দোলনের সকল স্তরের জনশক্তিকে প্রতিটি ঘরে ঘরে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর মাধ্যমে দ্বীনের বিজয় নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি গতকাল রাত ৯টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে হাতিরঝিল পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত এক সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
থানা আমীর ইউসুফ আলী মোল্লার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম রাশেদের পরিচালনায় সস্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও হাতিরঝিল জোনের পরিচালক হেমায়েত হোসাইন এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, শামীম হোসাইনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে ভাবান্তরের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ এখন বিকল্প শক্তির সন্ধান করছে। তারা এখন জামায়াতে ইসলামীকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে।
মূলত, জামায়াত এদেশের প্রাচীন, আদর্শবাদী, গণতান্ত্রিক, দায়িত্বশীল ও গণমুখী রাজনৈতিক দল। আমরা দেশ ও জাতির যেকোনে ক্রান্তিকালে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমাদের কর্মীদের আমরা ১২ মাসই নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকি। দায়িত্ব ও নেতৃত্বদানের উপযোগী করে গড়ে তুলি। সততা ও আমানতদারীতা আমাদের রাজনীতির মূলধন। তিনি রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই দেশে প্রচলিত ভোট চুরি ও চাঁদাবাজীর রাজনীতির পরিবর্তন আনতে হবে। দেশের মানুষ সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতির ওপর রীতিমত বীতশ্রদ্ধ। তাই এ অশুভ বৃত্ত থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বেড়িয়ে আসতে হবে। আর এজন্য জামায়াতকেই অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ, দেশের মানুষ জামায়াতকেই তাদের ভবিষ্যৎ মনে করছে। তিনি জনগণের আস্থা অর্জনে সকলকে ময়দানে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার জুলাই ঘোষণায় জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটেনি। তাই এ ঘোষণার ইতিবাচক পরিবর্তন এনে জুলাই চেতনার পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটাতে হবে। দেশে যাতে নতুন করে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে সেদিকেও সৃষ্টি রাখতে হবে খুব সতর্কভাবে। এখন সাথে অনতিবিলম্বে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে। মনে রাখতে যেনতেভাবে শুধু একটা নির্বাচন করে ক্ষমতার পালাবদলের জন্যই জুলাই বিপ্লব হয়নি। তাই আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য এবং সাথে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যার বিচারের পর নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় দায়সারা গোছের নির্বাচন সচেতন জনতা কখনোই মেনে নেবে না।