বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, একটি বিশেষ দল ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসনকে ব্যবহার করছে এবং নিজেদের জন্য সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। এর ফলে সমান সুযোগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, “ছোট-বড় সব দলের জন্য সমান মর্যাদা ও সুযোগ দিতে হবে। পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। এতে যত ভোট কাস্ট হবে তার আনুপাতিক ভিত্তিতে সংসদীয় আসন বণ্টন করা যাবে, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।”
বৃহস্পতিবার জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চকবাজারে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে থানা আমীর আহমদ খালেদুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর আব্দুল হান্নান, সেক্রেটারি সদুর রশিদ, চৌধুরী, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ইলিয়াস, এরশাদুল ইসলাম, মাওলানা খালেদ জামাল প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম বলেন, অতীতে ৩০-৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে এককভাবে ক্ষমতা দখলের কারণে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি চালু হলে প্রত্যেক ভোটার তার ভোটের ন্যায্যতা পাবেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদী, লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের কোনো স্থান হবে না। আওয়ামী লীগ ও এর মিত্র জাতীয় পার্টিসহ ১৪-দলীয় জোটকে ফ্যাসিবাদী রাজনীতির সহযোগী আখ্যা দিয়ে তিনি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। তাঁর মতে, এসব দল নিষিদ্ধ হলে জনগণ নিরাপদ বোধ করবে এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে আস্থা ফিরে পাবে।
‘সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্বকে নির্বাচিত করলেই জনগণের অধিকার আদায় সম্ভব’ : সৎ, যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক নেতৃত্বকে নির্বাচিত করলেই জনগণের অধিকার আদায় সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী সদরঘাট থানাধীন ২৮ নম্বর ওয়ার্ড পাঠানঠুলীর উদ্যোগে এক নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন চায় জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোক। অতীতে শাসকদের বাংলার মানুষ আর গ্রহণ করছে না। ইসলামী আন্দোলনের গণজাগরণ দেখে নব্য ফ্যাসিস্টদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের উচিত ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের মনের ভাষা বুঝে তা পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ও প্রার্থীর পরিচয় সকলের সামনে তুলে ধরে সত্যের দিকে আহ্বান জানাতে হবে।
২৮ নম্বর ওয়ার্ড পাঠানঠুলী ওয়ার্ড আমীর কবির আহমদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ডা. কফিল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সভাপতি ওমর ফারুক, শেখ ফরিদ, যুব সভাপতি শাহগীর কায়সার, ওলামা বিভাগের দায়িত্বশীল মাওলানা নাজের কুতুবী, শ্রমিক নেতা সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।