মোস্তফা মোঘল, বগুড়া অফিস : দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বগুড়ায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার পর হাটে ঘাটে মাঠে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা। বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তবে, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে অন্য দলের প্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় ভোটারদের কাছে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। বগুড়াকে বিএনপি প্রভাবিত এলাকা বলা হলেও এখানে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন প্রায় কাছাকাছি। স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে বগুড়া সদর থেকে জামায়াত মনোনীত মাওলানা আব্দুর রহমান ফকীর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালেও বগুড়া-২ আসনে নির্বাচিত হন জামায়াত প্রার্থী। পরবর্তীতে বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বেশ কয়েকটি নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি জামায়াত। তবে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বিএনপির সাথে টেক্কা দিয়ে একাধিক উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদে বিজয় ছিনিয়ে আনার রেকর্ড রয়েছে জামায়াতের। জুলাই অভ্যুত্থানের পর সারাদেশের মত বগুড়াতেও নিজেদের অতীতের চেয়ে আরও বেশি সংগঠিত করেছে জামায়াত। সাধারণ ভোটারদের মাঝেও বেড়েছে সমর্থন। অন্যদিকে, অতীতের ফলাফল বিবেচনায় অনেকটা খোশ মেজাজে রয়েছে বিএনপি। ধানের শীষের প্রতি ভালোবাসার টানে ভোটাররা এবারও তাদের বিজয়ী করবেন এমন আশা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সেনাতলা)

এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬২জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৫জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪২ জন। তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার ৫টি। এখানে বেশির ভাগ সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এখানে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহি সদস্য ও জেলা শাখার সাবেক আমীর অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন। তিনি এরই মধ্যে ভোটারদের কাছে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। সারিাকান্দি উপজেলা সাংগঠনিকভাবে খানিকটা দুর্বল হলেও সোনাতলায় জামায়াতের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। সুতরাং বিএনপির কোন্দল মেটাতে ব্যর্থ হলে জামায়াতের বিজয়ের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম এবারও বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে, সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এখনো মনোনয়নের জন্য তদ্বির অব্যাহত রেখেছেন। শেষ পর্যন্ত কাজী রফিকুল ইসলাম মনোনয়ন পেলেও জাকিরের সমর্থকদের ভোট পাওয়া অনিশ্চিত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী দলের জেলা কমিটির সদস্য এ বি এম মোস্তফা কামাল পাশা। তিনিও প্রচারনা চালাচ্ছেন। বাসদের প্রার্থী হতে পারেন সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের জেলা সদস্য মো. শাজাহান আলী।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ)

এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৩জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৩০৭জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৩জন। তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার ৩টি। বিএনপি সারাদেশে প্রার্থী ঘোষণা করলেও এই আসন এখনো ফাঁকা রয়েছে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না কে এই আসনটি বিএনপি ছাড়তে পারে এমন গুঞ্জন রয়েছে। তবে, মান্নার বিপক্ষে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মীর শাহে আলম। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত প্রচারনা চালাচ্ছেন। এমনকি মান্নাকে প্রার্থী করা হলেও তিনি নির্বাচন করবেন বলে প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন। এখানেও বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। ৫ আগষ্টের পর মীর শাহে আলমের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। অতীতের সব নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান মতিনের সমর্থকরা মীর শাহে আলমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবেনা বলে দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী সাবেক এমপি মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নেতা এরই মধ্যে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন। তিনি এবং তার কর্মী সমর্থকরা আসন্ন নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এখানে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার। বিএনপির জোট থেকে মনোনয়ন না পেলেও তিনি নির্বাচন করবেন এমন কথা টক শোতে প্রকাশ্যে বলেছেন। তবে, একক নির্বাচন করে তিনি খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবেন এমনটি এলাকার ভোটাররা মনে করেন না।

বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া)

এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৪০ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬৫জন আর নারী ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৩জন। তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার ২টি। জামায়াতে ইসলামী এখানে মনোনয়ন দিয়েছে তরুণ নেতা গুনাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আবু তাহেরকে। নূর মোহাম্মদ ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ৫ বারের চেয়ারম্যানকে প্রায় ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিকে হারিয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন জামায়াতের আব্দুল গণি মন্ডল। আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী না দিলেও ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় জামায়াত। দুই উপজেলায় সাংগঠনিক ভাবেও মজবুত অবস্থান রয়েছে জামায়াতের। এছাড়া তরুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় নূর মোহাম্মদ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে গণমানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। তরুণদের ব্যাপক সমর্থনের ফলে এই আসনে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছে জামায়াত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা কমিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহজাহান তালুকদার প্রচারনা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।বিএনপি এই আসনে মনোনয়ন দিয়েছে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মুহিত তালুকদারকে। তিনি সাবেক এমপি আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকার ভাই।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দ্রীগ্রাম):

এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৪জন। পুরুষ ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৭ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৭৬জন। তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার ৮টি। বিএনপির জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনকে দল থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি দিনরাত নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। তবে, এই এলাকার বিএনপিতে কমপক্ষে তিনটি ভাগ রয়েছে বলে জানাগেছে। সংসদ সদস্য থাকাকালে দলের অপর গ্রুপের অনেক নেতাকর্মী মোশারফ হোসেন এবং তার সমর্থকদের দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি সবধরনের সুযোগ সুবিধা থেকেও তাদেরকে বঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে মোশারফের বিরুদ্ধে। ফলে আসন্ন নির্বাচনে দলীয় কোন্দল মোশারফ হোসেনের জন্য বড়ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করছেন ভোটাররা। এখানে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী, ইফসু’র মহাসচিব ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ। এই আসনে জামায়াত মনোনীত মাওলানা তায়েব আলী ইন্তেকাল করায় সুদুর তুরস্ক থেকে মোস্তফা ফয়সাল পারভেজকে দেশে ফিরিয়ে এনে প্রার্থী করা হয়েছে। অল্প সময়ে তিনি ভোটারদের হৃদয় জয় করে ফেলেছেন। জামায়াতের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত কাহালু উপজেলায় ৩ বার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন মাওলানা তায়েব আলী। নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২০১৪ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম মন্ডল। ফলে এবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী জামায়াত।

বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট)

এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৩জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬০৯জন। আর নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৪৮জন। তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার ৬টি। জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবের প্রশংসা করে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। তার সেই বক্তব্যের ভিডিও এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলছে। ওয়ান ইলেভেনের পর বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সংস্কারপন্থী এই নেতা। এখানে বিএনপির ভয়াবহ দলীয় কোন্দল রয়েছে। জানে আলম খোকার নেতৃত্বে একটা বিশাল অংশ রয়েছে সিরাজের বিপক্ষে। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শেরপুর উপজেলা আমীর ও শেরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দবিবুর রহমান। এই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী দীর্ঘ দিন যাবত মাঠে রয়েছেন। সারা বছর তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। তার জয়ের ব্যাপারে জামায়াত অনেকটাই আশাবাদী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শেরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যপক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নুও প্রচারনা চালাচ্ছেন। তবে, ইসলামী আন্দোলন জামায়াতের সাথে জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে জোটের পক্ষ থেকে একজনই প্রার্থী থাকবেন বলে জানাগেছে।

বগুড়া-৬ (সদর)

এই আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪৯ হাজার ১৫২জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৩০১ ও নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮৪১জন। তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার ১০টি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি এখনো দেশের বাইরে থাকায় দলের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামী শহর শাখার আমীর আবিদুর রহমান সোহেল এই আসনে তারেক রহমানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরাও রাতদিন ভোটারদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। এখানে জামায়াতে ইসলামীর বড় ভোটব্যাংক রয়েছে। জোটবদ্ধ থাকায় কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থী না দিলেও উপজেলা নির্বাচনে প্রায় দেড় লক্ষ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আবিদুর রহমান সোহেল। বিএনপিকে হারিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও জিতেছিল জামায়াত। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির সাথে ভোটের মাঠে সমান তালে লড়াই করতে চায় জামায়াত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পক্ষে জেলা কমিটির সভাপতি আ ন ম মামুনুর রশিদ প্রচারণা চালাচ্ছেন। এনসিপি আব্দুল ওয়াকি নামের একজনকে মনোনয়ন দিয়েছে।

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর):

এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৭৬ ও নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৩জন। আর তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভোটার ৫টি। বিএনপি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এই আসনে মনোনয়ন দিলেও তিনি অসুস্থ থাকায় কে প্রার্থী হবেন এটা এখনো অনিশ্চিত। জিয়া পরিবারের বাইরের কাউকে প্রার্থী করা হলে জয়-পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে দলীয় কোন্দল। সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টন গ্রুপে বিভক্ত এই আসনের বিএনপি। জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গোলাম রব্বানী। তিনি এর আগেও বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বগুড়া-৬ আসনে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গাবতলীতে সাংগঠনিকভাবে কিছুটা দুর্বল হলেও শাজাহানপুর উপজেলায় জামায়াত বেশ শক্তিশালী। ফলে এখানেও বিএনপির সাথে তুমুল লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।