খুলনা ব্যুরো, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা সংবাদদাতা : খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ১০টি এবং কয়রা উপজেলার ৭টি মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসন। সংসদীয় আসন নং ১০৪। বিশ্বের বৃহত্তম ‘ম্যানগ্রোভ’ বন সুন্দরবন সংলগ্ন যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের একটি দুর্যোগকবলিত জনপদ। এলাকাটি যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, ঠিক তেমনি রয়েছে সংকট। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে এর অবস্থান হওয়ায় সিডর, আইলা, আম্ফান-এর মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বারবার আঘাতে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা দীর্ঘকাল ধরে হুমকির মুখে। যাদেরকে আল্লাহর রহম আর সুন্দরবন ঢাল হিসাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন। প্রতিটি দুর্যোগের পর এখানকার মানুষ মানুষ মানতে বাধ্য নতুন সংগ্রামে। যা তাদেরকে অদম্য সহনশীলতার পরিচয় করিয়ে দেয়। দুঃখজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বারবার ক্ষমতার পালাবদল হলেও এই উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের কোন মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। ২০২৪ সালের ৫আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর এই অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গন নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক নেতারা এই এলাকাটিকে ‘নতুন আঙিনায়’ সাজানোর অঙ্গীকার নিয়ে ভোটের মাঠে গণসংযোগ করছেন। সকল রাজনৈতিক নেতার প্রতিশ্রুতির কেন্দ্রে এখন একটাই ‘টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা’। সাথে সাথে দুর্যোগকবলিত এই অঞ্চলের সংগ্রামী জনগোষ্ঠী অপেক্ষার প্রহর গুণছে কবে স্থায়ীভাবে সুরক্ষিত হবে এই অবহেলিত জনপদটি।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ১৯ হাজার ২২৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১০ হাজার ৫৭১ জন এবং নারী ২ লাখ ৮ হাজার ৬৫৭ জন। এছাড়াও আসনটিতে একজন হিজড়া ভোটার রয়েছে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা গণসংযোগে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। খুলনা-৬ আসনে নির্বাচনী এলাকাটি জামায়াতে ইসলামীর শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। রাতেরভোটে, বিনাভোটে, ডামি ভোটে, দীর্ঘ দিন এই আসনটি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। অপরদিকে বিএনপির একাধিক প্রার্থী ধানের ‘শীষ প্রতীক’ পেতে মরিয়া হয়ে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে। ইসলামী আন্দোলন এককভাবে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী নিশ্চিত করেছে। আর জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী ঘোষণা করতে না পারলেও তৎপরতা চালাচ্ছেন অনেকেই।

সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এ আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এ আসন থেকে অতীতে দুইবার জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ মুহা. রুহুল কুদ্দুস জিতেছেন। ফলে সাংগঠনিক ভিত্তি খুবই শক্তিশালী। সাথে যোগ হয়েছে প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের অবিরাম নির্বাচনী তৎপরতা।

এখানে জামায়াতের স্বস্তি যতোটা, বিএনপির অস্বস্তি ঠিক ততোটাই। সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীর ছড়াছড়ি এখানে। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম ও যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত এম জুবায়ের আহমেদ। তবে স্থানীয় সব প্রার্থীকে ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতায় দুই পরিচিত মুখ। জাতীয় প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’তে নেতৃত্ব দেওয়া জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিরুল ইসলাম কাগজী এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বিএসএস’র চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন। পেশাগত কারণে ঢাকায় অবস্থান করলেও প্রায়ই এলাকায় আসছেন তারা। যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একক প্রার্থী খুলনা জেলার সহ-সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ আসাদুল্যাহ আল গালিব। এনসিপির হয়ে লড়তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জেলার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, এনসিপি খুলনা জেলার যুগ্ম-সমন্বয়ক এডভোকেট মাফতুন আহমেদ ও বৈষম্যবিরোধীর আরেক নেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বলও এলাকায় গণসংযোগ করছেন। এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে একক প্রার্থী মাওলানা সোলাইমান হোসেন নোমানী এলাকায় কাজ করছেন।

এ আসনে এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে বেশ শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। ইসলামী রাজনীতির সাথে প্রায় পাঁচ দশক ধরে সম্পৃক্ত এই প্রবীণ নেতা স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পড়ে বারবার কারাবরণ করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন যা এলাকায় তাকে এক ভিন্ন পরিচিতি দিয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর জামায়াত-শিবির এক ভিন্ন কৌশল নিয়ে মাঠে সক্রিয় হয়েছে। তারা সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করে নতুন করে প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে দলীয় কার্যালয় চালু করেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা এখন তুঙ্গে। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে লিফলেট, স্টিকার বিতরণ চলছে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে, হাট-বাজারে বড় আকারের ব্যানার ফেসটুনের মাধ্যমে প্রচার চলছে। আসন, উপজেলা ও কেন্দ্রভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নিয়মিত উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ব্যাপক তৎপরতার ফলে এলাকায় জনগণের মধ্যে নতুন এক উৎসবমুখর আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ দৃঢ়তার সঙ্গে মন্তব্য করেন যে, সাধারণ মানুষ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেই আছে। কয়রা-পাইকগাছার উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী মহাপরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে কয়রা-পাইকগাছাকে নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করাই হবে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খার প্রতিফলন। বেড়িবাঁধগুলোকে টেকসই ও মজবুত করার জন্য প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন বাঁধ তৈরি করা হবে, যা শত বছরের দুর্যোগেও টিকে থাকবে ইনশাআল্লাহ। খুলনা শহর থেকে আমার নির্বাচনী এলাকা পাইকগাছা উপজেলা ৬৫ কিলোমিটার এবং কয়রা উপজেলা ৯৮ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। এই আসনের অধিকাংশ রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক হওয়ার কারণে জেলা শহরে পৌছাতে দীর্ঘসময় ব্যয় হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনুন্নত রাস্তা-ঘাট এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলেছে। মানুষের দোয়া ও ভোটারদের ভোটে আমি বিজয়ী হলে রাস্তা-ঘাট সংস্কার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নদী খনন, স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্ধ স্লুইচ গেইট সংস্কার, মাদক নির্মুল করা, ক্রীড়া খাতে উন্নয়ন, খাল খনন, কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা, কবরস্থান, শ্মশান ঘাট নির্মাণ, কসাইখানা তৈরি, রেললাইন স্থাপন, মৎস্যজীবীদের আয়ের ব্যবস্থা তৈরি, কৃষকদের মধ্যে সার সরবরাহ, কীটনাশক সরবরাহ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, কয়রা পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন, পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

এদিকে বিএনপি’র মনোনয়নের আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন। তিনি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিশেষজ্ঞ পরীক্ষক ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক। তার বাড়ি পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের নগর শ্রীরামপুরে। জিয়া পরিবারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উন্নয়নের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে কাজ করছেন তিনি। তারেক রহমানও পাইকগাছা-কয়রার উন্নয়নের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অপরদিকে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে নির্বাচনী মাঠে সরব রয়েছেন আমিরুল ইসলাম কাগজী । এই উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবনমানের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে তিনি এবার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমানে তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটারদের কাছে গিয়ে তিনি দল ও নিজের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের চাহিদা ও এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দল তাকে নির্বাচন করার সুযোগ দেবে। কয়রা-পাইকগাছায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণকে সামনে রেখে আমিরুল ইসলাম কাগজী তার গণসংযোগে এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা দূর করার জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। অনুন্নত রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন নিশ্চিত করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো। দলের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি স্থানীয় জনগণের কল্যাণে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা। এইসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন। তিনি আশা করছেন, তার অভিজ্ঞতা ও এলাকার প্রতি অঙ্গীকার এই আসনটিতে একটি নতুন রাজনৈতিক দিক উন্মোচন করবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা প্রতীকে তাদের একক প্রার্থী হিসেবে খুলনা জেলার সহ-সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ আসাদুল্যাহ আল গালিবকে নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্ষমতায় গেলে তারা শাসক না হয়ে সেবক হিসেবে জনগণের জন্য কাজ করবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন এবং জনগণের মাঝে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হলে কয়রা-পাইকগাছার উন্নয়নের সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ‘টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ’ করে কয়রা-পাইকগাছাকে নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করাই হবে তার প্রধান কাজ। এছাড়াও তিনি রাস্তা-ঘাট সংস্কার, স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, মাদক নির্মুল করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

এ আসনে এনসিপির হয়ে লড়াই করতে এলাকায় কাজ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জেলার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি। তার গ্রামের বাড়ি পাইকগাছা উপজেলায়। তাছাড়া দীর্ঘদিন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে কয়রা-পাইকগাছা অঞ্চলে তার আলাদা সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে। দুর্গাপূজায়ও তিনি পাইকগাছা-কয়রা অঞ্চলের বিভিন্ন মন্দিরে উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছিলেন। একই আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন এনসিপি খুলনা জেলার যুগ্ম-সমন্বয়ক এডভোকেট মাফতুন আহমেদ। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। নানাভাবে হেনস্তা হয়েছেন; জুলুম-নির্যাতনের নির্মম শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে একই আসনে বৈষম্যবিরোধীর আরেক নেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বলও এনসিপির মনোনয়ন চাইতে পারেন। সদ্য শেষ হওয়া জাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হলেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনটিতে যারা বিজয়ী হয়েছেন ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এস এম বাবর আলী বিজয়ী হন। ১৯৭৯ সালে বিএনপির শেখ রাজ্জাক আলী বিজয়ী হন। ১৯৮৬ জাতীয় পার্টির মমিন উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হন। ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর অধ্যক্ষ শাহ্ মুহা. রুহুল কুদ্দুস বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের শেখ মো. নুরুল হক বিজয়ী হন। ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামীর অধ্যক্ষ শাহ্ মুহা. রুহুল কুদ্দুস বিজয়ী হন। ২০০৮ আওয়ামী লীগের সোহরাব আলী বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে বিতর্কিত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের শেখ মো. নুরুল হক বিজয়ী হন। ২০১৮ সালের নিশি রাতের ভোটে আওয়ামী লীগের আক্তারুজ্জামান বিজয়ী হন। ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. রশিদুজ্জামান বিজয়ী হন।