আগস্ট বিপ্লব ও অন্তর্বতী সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপে এবারের ঈদ আগের তুলনায় খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।

তিনি আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) কুমিল্লা সংসদীয় আসন-২ (হোমনা-মেঘনা) জামায়াত আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। হোমনা উপজেলা জামায়াত আমীর মাওলানা সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মেঘনা উপজেলা আমীর লোকমান হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ও কুমিল্লা-২ আসনে জামায়াত মনোনীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দীন মোল্লা। উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

মাওলানা মা’ছুম বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসীশক্তির পতন হলেও পরিপূর্ণ বিজয় এখনো আসেনি বরং পতিতদের প্রতিভূরা দেশকে অস্থিতিশীল করে অর্জিত বিজয় বিতর্কিত, নস্যাৎ ও অন্তর্বতীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য নানাবিধ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সঙ্গত কারণেই দেশে এখনো লাগামহীন চাঁদাবাজী বন্ধ হয়নি। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি আগের তুলনায় ইতিবাচক হলেও পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক নয়। স্বৈরাচারের পতনের পর অর্থনীতিতে গতি ফিরে আসলেও এখনো তা মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মূলত, অতীতে অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়া ও সুশাসনের অভাবেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণেই এবারের ঈদ অন্য বারের তুলনায় স্বস্তিদায়ক হয়েছে। তাই জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে এজন্য কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি পবিত্র ঈদুল আযহার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহ যখন ঈদুল আযহার উদযাপন করছে তখন গাজায় ইসরাইলী হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হয়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, গত ৯ জুন ইসরাইলী দখলদাররা অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। জায়নবাদীদের হামলা প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত হচ্ছে অধিকৃত গাজার জনপদ। মূলত, গাজায় উপর্যুপরি হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞে পুরো নগরীই এখন ধ্বংস স্তুপ ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। অথচ জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ঘাতক বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এমতাবস্থায় গাজাবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় বিশ্ব মুসলিমকে ঘরে বসে থাকলে চলবে না বরং বর্বর বাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি গাজায় গণহত্যা বন্ধে মুসলিম উম্মাকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।