শহিদুল্লাহ মনসুর, জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন ও গত জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার—এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে জাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান মুস্তাফিজ। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বিবৃতিতে মুস্তাফিজ বলেন, “জাকসু না কি বিচার? জাকসু না কি বিচার—এই বাইনারি প্রশ্নে যারা যেতে চান, তারা স্পষ্টতই জাকসু বানচালের দলীয় ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করছেন! বিজয়ের পর পরাজিত শক্তির (ফ্যাসিবাদ কায়েমকারী/হত্যাকারী/খুনি/সন্ত্রাসী/অপরাধী) বিচার হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। সম্প্রতি সিরিয়া তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। সেই বিচারের পথ রুদ্ধ করতেই জাকসু ও বিচারকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে—প্রশ্ন হলো, এর এজেন্ডা কার?”

তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের হামলায় যারা জড়িত, সেই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ ও গুলি চালনার নির্দেশদাতা ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের সহযোগী শিক্ষকদের বিচার বিশ্ববিদ্যালয়ের এখতিয়ারেই হওয়া উচিত। আমরা কারও ফাঁসির দাবি করিনি, যা বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি মামলার কাজটুকুও আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে না পাঠায়, তাহলে প্রশ্ন উঠবেই—তারা আদৌ বিচার করতে চায় কি না।”

শিবির সেক্রেটারি অভিযোগ করেন, “শহিদের রক্ত মাড়িয়ে ক্ষমতার গদিতে বসা প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়ে তাই প্রশ্ন থেকেই যায়—আদৌ তারা বিচার করবে তো? জাকসু হতে দেবে তো? নাকি ভিসির ঘাড়ে চেপে বসা গুটিকয়েক দলীয় শিক্ষক-নেতার কথামতো জাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করবে?”

বিবৃতির শেষাংশে তিনি জাকসু এবং বিচারকে মুখোমুখি না করে সমান্তরালভাবে চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি। তিনি বলেন, এই দুটি বিষয় পরস্পর সাংঘর্ষিক নয়, বরং একসঙ্গে চলতে পারে এবং চলা উচিত। প্রশাসনের উচিত হবে কোনো পক্ষের রাজনৈতিক প্রভাব বা চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ কাজ করা।