৫ দফা দাবি আদায় হলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’, এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ করার ৫ দফা দাবি পূরণ করেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন সংবিধানের দোহাই দিয়ে জুলাই চেতনা বাস্তবায়নে একটি দল বাধা দিচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী যেই দলটি প্রতিদিন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে সেই দল কোন সংবিধানের আলোকে নির্বাচনের দাবি করছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যদি হাসিনার তৈরি সংবিধান মানা হয় তাহলে সেই সংবিধান অনুযায়ী ২০২৯ সালে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। জনগণকে ধোঁকা না দিয়ে জুলাই বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়নে সকল রাজনৈতিক দলকে ভূমিকার রাখতে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জুলাই চেতনা বাস্তবায়ন হলেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে। মনে রাখতে হবে বিপ্লব সংবিধান মেনে হয় না, বিপ্লব পরবর্তীতে পূর্বের সংবিধান বহাল থাকে না। বিপ্লবের চেতনায় নতুন করে সংবিধান লিখতে হয়।

শনিবার (৪ঠা অক্টোবর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রমনা থানার উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতী অভিযান পূর্বক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে গণহত্যার বিচার ও সংস্কার বাস্তবায়ন করে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিচার ও সংস্কার ব্যতীত অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন আশা করা যায় না। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের নির্বাচনের আগেই বিচারের আওতায় না আনলে তারা দুর্নীতি-চাঁদাবাজির কালো টাকার ছড়াছড়ি করে নির্বাচনকে বিতর্কিত করবে। ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে ওঠা দল শেখ হাসিনার মতোই দিনের ভোট রাতে করতে চেষ্টা করছে। জুলাই যোদ্ধারা এবং দেশপ্রেমিক জনতা হাসিনা মার্কা কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেবে না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহন মূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য শুধু বাউফলে নয় পুরো বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে জনগণ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। জাতি চায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে একটি বৈষম্যহীন সুখি-সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে। জামায়াতে ইসলামী জাতিকে ক্ষুধা, দারিদ্র, বেকারত্ব, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজমুক্ত বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

সভা শেষে ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে রমনা থানা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা রমনা-মালিবাগ এলাকায়, ফরচুন মার্কেট, আদ দীন মেডিকেল কলেজ এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতী অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় নেতৃবৃন্দ নতুন বাংলাদেশের মডেল হিসেবে ঢাকা-৮ এলাকাকে গড়ে তুলতে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে স্থানীয়দের আহ্বান জানান।