দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন কোন ঐচ্ছিক বিষয় নয় বরং আমাদের সকলের উপরই অত্যাবশ্যকীয় বা ফরজ; তাই ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইউনিট দায়িত্বশীল সহ সকল স্তরের জনশক্তিকে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানী উত্তরার স্থানীয় একটি মিলনায়তনে উত্তরা মডেল থানা জামায়াত আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী ও ইউনিট দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর এডভোকেট মোঃ ইব্রাহিম খলিল সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী বদিউজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে দারসুল কুরআন পেশ করেন মাওলানা ড. কামরুল হাসান শাহীন। বক্তব্য রাখেন মহানগরীর নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, ঢাকা-১৮ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, উত্তরা পশ্চিম জোনের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম, থানার নায়েবে আমীর হারুনুর রশীদ তারেক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মাহফুজুর রহমান প্রমূখ।
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, সংগঠনের প্রাণ হচ্ছে ইউনিট। তাই কেন্দ্রীয় সংগঠনকে মজবুত ও গতিশীল করতে হলে দেশের সকল ইউনিটকে নতুন আঙ্গিতে ঢেলে সাজাতে হবে। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দ্বারে দ্বারে ইসলামের বার্তা পৌঁছাতে ইউনিটের প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে দায়িত্বশীলতা ও আন্তরিকতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। এক্ষেত্রে দাওয়াতি কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। তিনি আসন্ন নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে নতুন করে নির্বাচনী আবহ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে অবসর নেওয়ার সুযোগ নেই বরং একটি সফল ইসলামী বিপ্লব সাধনের জন্য ময়দানে অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে সার্বিক সাংগঠনিক প্রস্তুতি,দাওয়াতি তৎপরতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং মিডিয়া ব্যবস্থাপনায় আরও সচেতন ও দক্ষ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় এবং দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করতে সকলকে ময়দানে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকারও আহবান জানান। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।