বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মাসিক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ এপ্রিল সকাল ৮টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দারসুল কুরআনের মাধ্যমে বৈঠক শুরু হয়। সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দামের সঞ্চালনায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

দিনব্যাপী এই আয়োজনে এপ্রিল মাসে সারা দেশের সামগ্রিক কার্যক্রমের পর্যালোচনা, মে মাসের পরিকল্পনা গ্রহণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ এবং আগামী দিনের করণীয় নির্ধারণসহ বিভিন্ন এজেন্ডা আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উক্ত বৈঠকে কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আগামী দিনের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনশক্তিকে শুধু সাংগঠনিক দক্ষতায় নয়; বরং আদর্শিক দৃঢ়তা ও আত্মিক পরিশুদ্ধতার ভিত্তিতে প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত, তাফসির অধ্যয়ন, নফল ইবাদত ও আত্মশুদ্ধিমূলক উদ্যোগগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, “দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দখলদারিত্ব এবং বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর ওপর চলমান আগ্রাসন আমাদের সামনে নতুন সংকট তৈরি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ছাত্রশিবিরকে সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীলদেরকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নৈতিকতাসমৃদ্ধ জাতি গঠনের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”

বৈঠকে মে মাসে দেশব্যাপী দাওয়াত ও আত্মশুদ্ধিমূলক কার্যক্রম জোরদারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া ৫ মে শাপলা গণহত্যা দিবস, ৬ মে বালাকট দিবস ও ১১ মে কুরআন দিবস পালন, এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের নিয়ে দোয়া অনুষ্ঠানসহ ছাত্রকল্যাণমূলক নানান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ছাড়া শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলন, সংশ্লিষ্ট স্থানে স্মারকলিপি প্রদান ও সেমিনারের আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি, জুলাই গণহত্যার বিচার, এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জোরালো কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পরিশেষে পারস্পরিক এহতেসাব ও দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে বৈঠক সমাপ্ত হয়।