বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর রুকন প্রার্থীদের নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে আন্দোলনকে বিজয়ী করতে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করা একটি ফরজ ইবাদত। তাই সমাজের সকল মানুষের কাছে ইসলামের সু-মহান আদর্শের দাওয়াত পৌছিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে নিজেদের আওতাধীন সকল ব্যক্তির উপর দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া অবশ্যক। পরিবারের কর্তা তার স্ত্রী-সন্তানদের, প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের, এলাকার মেম্বার-কমিশনার, চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী কিংবা শাসকগণ যার যার অধীনস্থ সবাইকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান করে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয়ের জন্য দাওয়াত দেবেন। কেননা, রসুল (স.) বলেন, ‘ তোমরা প্রত্যেকেই জিম্মাদার এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তাদের অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হবে।’
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের রুকুনিয়াতের শপথ নেয়ার ক্ষেত্রে যে সকল গুণাবলি থাকতে হবে তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন ইসলামী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে কর্মীদের অবশ্যই কয়েকটি গুণাবলি থাকতে হবে তাঁর মধ্যে অন্যতম ঈমান, ইসলাম, ত্বাকওয়া এবং এহসান। সেই সাথে তিনি উপস্থিত রুকন প্রার্থীেেদর উদ্যেশ্য করে বলেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মীকে দুনিয়ার কোন কিছুর প্রতি আকাঙ্খিত হওয়া যাবেনা বরং অন্যের চাওয়া পাওয়াকে সকলকিছুর উপর অগ্রাধিকার দিতে হবে। শুক্রবার (২ মে) খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে দিনব্যাপী রুকন প্রার্থী শিক্ষা শিবির-২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক আবু রুবাবা, মীম মিরাজ হুসাইন, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, অধ্যাপক জুলফিকার আলী, মাওলানা শেখ মো. ওলিউল্লাহ, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের জন্য একদল যোগ্য ও দক্ষ লোকের প্রয়োজন। ফলে সেই দক্ষ ও যোগ্য লোক তৈরির জন্যই আজকে রুকন প্রার্থীদের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলনকে বেগবান করতে বাইয়াতবদ্ধ জীবন যাপন করতে হবে। বাইয়াতে রিদওয়ান, আকাবার শপথ, হুদায়বিয়ার শপথ, মক্কা বিজয় সহ বিভিন্ন সময় সাহাবীগণ রাসূল সা-এর কাছে বাইয়াত নিয়েছিলেন। রাসুল (সা.) এর ইন্তিকালের পরে সাহাবায়ে আজমাইন খোলাফায়ে রাশেদিনের নিকট বাইয়াত নিয়েছিলেন। মুসলিম সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব যার উপর ন্যস্ত হয়েছিল তাঁর নিকট বাইয়াত হওয়া ইসলামের ইতিহাসে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও ঈমানদারদের জন্য অপরিহার্য। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে আপনারাও বাইয়াত গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাদের বাইয়াতের কর্মী হিসেবে কবুল করুন।