বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতির বাইরে গিয়ে একটি জনকল্যাণমুখী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এমন একটি রাজনৈতিক কালচার আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, যে রাজনীতি মানুষের কল্যাণ করতে শেখাবে। একে অপরের মধ্যে শ্রদ্ধাশীল হতে শেখাবে, সম্মান বোধ তৈরী করবে। বিপদ মুসিবতে একে অপরের পাশে দাড়ানোর মানবিক মূল্যবোধ তৈরি করবে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনাই ছিল নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। পুরাতন পঁচা, প্রতিহিংসার রাজনীতির কবর রচনা করে আমরা নতুন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েম করতে চাই। শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ৫নং ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, বিগত ৫৪ বছর ধরে চলা রাজনীতিতে আমরা শুধু প্রতিহিংসা দেখতে পাই। কিভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়, কিভাবে আরেকজনের জমি দখল করা যায়, কিভাবে আরেকজনের দোকানপাট দখল করা যায়, বাড়ি-ঘর দখল করা যায়, অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে কাউকে জেলখানায় পাঠানো যায়, জুলুম নির্যাতন চালানো যায় সে চিত্রই আমরা বিগত দিনে দেখে এসেছি। যতক্ষন পর্যন্ত এই অপরাজনীতি এই সমাজে চলবে, ততক্ষন পর্যন্ত এই সমাজ, রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে না। পিছনের দিকে যাবে। ধ্বংস হয়ে যাবে সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থা। এবং তাই হয়েছে। আমরা চাই এই অপরাজীতির অবসান ঘটুক। কিন্তু আমরা হতাশ হয়েছি, ৫ আগষ্ট পরবর্তী এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমরা সেই পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না।
এমপি প্রার্থী দেলাওয়ার বলেন, দেশের মানুষ এখন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। এবার অনেক আশা নিয়ে তারা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে। সকল দলকে তাদের দেখা হয়েছে। জামায়াত কি করতে পারবে এবার দেশের মানুষ সেটাই দেখতে চায়। কারণ জামায়াত ক্ষমতায় গেলে জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। তাদের জন্য সরকার যে সকল সুযোগ সুবিধা ও সাহায্য বরাদ্দ দেয় তা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়া হবে। বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ আমানত হিসাবে রক্ষা করবে। চুরি-ডাকাতি, লূটপাট, দূর্নীতি বন্ধ হবে।
তিনি আরো বলেন, যদি ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ আগামী সংষদ নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে কাজ করার সুযোগ দেন, তাহলে ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন, বন্ধ বিমান বন্দর পুনরায় চালু করা, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, কৃষি শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা, বেকারত্ব দূরীকরণের ব্যবস্থা করাসহ সাধারণ মানুষের মৌলিক সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঠাকুরগাঁও শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান শাহ শামীম, শহর সেক্রেটারি হাফেজ জোবায়ের আল মাসুম, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল হাকিম জিহাদী, রাজিউর রহমান রাজু প্রমুখ।