ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহের চরমোনাই গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সাংবাদিকগণ হলো রাষ্ট্রের স্তম্ভ। সাংবাদিকতার মাধ্যমেই সমাজ-রাষ্ট্রের অসংগতি, দুর্নীতি সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে। অপরাধ প্রতিহত হয়। সেজন্য একটি সভ্য ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক দেশে সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়া কোনভাবেই সহ্য করা হয় না। বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার সরকার সৎ ও নির্বিক সাংবাদিকদের নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে এবং একদল ছা-পোষা সাংবাদিক তৈরি করেছিলো।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানে স্বৈরতন্ত্রের পতনের পরে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি দলীয় বা বিএনপির নামধারী নানাস্তরের নেতারা সাংবাদিকদের ওপরে আগের মতো চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে এবং সাংবাদিকদের ওপরে হামলা করে তাদের নিরাপত্তা বিঘিœত করছে। তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো ভোলার দৌলতখানে সময় টিভির সাংবাদিকদের ওপরে হামলা করার ঘটনা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে যা জানা যাচ্ছে তা ভীতিজনক। মব সৃষ্টি করে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়া, সাংবাদিকদের শারীরিক হেনস্তা করা এবং তাদের জীবনের হুমকি তৈরি করার যে বিবরণ এসেছে তা কোন সভ্য সমাজে কল্পনা করা যায় না। বিএনপি বারংবার গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের তৃণমূলের নেতৃত্ব যেমাত্রায় সহিংসতাপ্রবণ তাতে আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের আতংকিত হওয়ার যথেষ্ঠ কারণ তৈরি হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, এর আগে গাজীপুরে একাধিক সাংবাদিক নির্যাতন এমনকি সাংবাদিক হত্যার ঘটনাও আমরা দেখেছি। দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হলেও হত্যাকারীর পেছনের লোকদের খুঁজে বের করা যায় নাই। এর ফলে দেশের প্রান্তে প্রান্তে সাংবাদিকদের ওপরে নির্যাতন করার সাহস পাচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রশাসনের প্রতি দাব জানাচ্ছে যে, অবিলম্বে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দ্রুত ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় এর দায় বিএনপিকেও বহন করতে হবে।