খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের আগড়ঘাটা বাজার, বিরাশি গ্রাম, হরিঢালি ইউনিয়নের উল্টর শলুয়া, দক্ষিণ শলুয়া, মাহমুদকাঠি, হরিদাসকাঠি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি অত্র এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনেন। তিনি বলেন, দেশে জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে দাড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করা অপরিহার্য। ইনসাফ, সাম্য ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই প্রতীকই একমাত্র ভরসা। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, পাইকগাছা উপজেলা আমীর মাওলানা সাইদুর রহমান, নায়বে আমীর মাওলানা বুলবুল আহমেদ, সেক্রেটারি মো. আলতাফ হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল খালেক, পাইকগাছা উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শেখ কামাল, কপিলমুনি ইউনিয়ন আমীর মো. রবিউল ইসলাম, বাইতুলমাল সেক্রেটারি জাকির হোসেন, জামায়াত নেতা মো. ওমর আলী, মো. আসাদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, শেখ ফজলুর রহমান, আব্দুস সাত্তার, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর জামায়াত, ছাত্রশিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। তারপরও কোনো কিছুতেই জামায়াতে ইসলামী এক মুহূর্তের জন্য থেমে থাকেনি, থেমে যায়নি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নতুন ও মানবিক বাংলাদেশ গড়বে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে জামায়াতের অঙ্গীকার তুলে ধরে তিনি বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইনশাআল্লাহ, ইসলাম ও ইনসাফের ভিত্তিতে জনকল্যাণমূলক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবো। তিনি বলেন, গত ৫৪ বছর সব প্রতীক দেখা শেষ, এবারের বিজয়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বাংলাদেশ। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত, বেকারমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, দখলবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহবান জানান।

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এলাকার মানুষের ভালোবাসা ও আন্তরিকতা আমাকে অনুপ্রাণিত করছে। আমি রাজনীতি করি জনগণের কল্যাণে, ক্ষমতার জন্য নয়। আমার স্বপ্ন-একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন করা, যেখানে অন্যায়-দুর্নীতির কোনো স্থান থাকবে না। তিনি আরও বলেন, যদি আমি নির্বাচিত হই, তাহলে এই এলাকার যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করব। শিক্ষাক্ষেত্রে মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা সহজপ্রাপ্তি এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠন আমার অঙ্গীকার।

প্রচারাভিযানের সময় জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বশীল, ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাকর্মী, যুব সমাজের প্রতিনিধি এবং সাধারণ ভোটাররা তার পাশে ছিলেন। গণসংযোগের সময় তিনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।