বাগমারা (রাজশাহী) সংবাদদাতা: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপি’র নেতাদের মধ্যে একাধিক বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিএনপিকে ব্যবহার করে অনিয়ম, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে বলে দলের মধ্যে দাবি করা হচ্ছে। চলছে দলের মধ্যে কাঁদা ছোঁড়াছড়ি। তবে দলের মধ্যে কে মাঠে ছিল আর না ছিল এ নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষন চলছে নেতা কর্মীদের মধ্যে। এই ধারাবাহিকতায় বিগত কয়েক দিন ধরে উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ডি.এম জিয়াউর রহমান জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার দাবি করে প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। বাগমারা উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের একটি অংশের নেতা কর্মীদের আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জের প্রধান রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে গোডাউন মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব শামসুজ্জোহা সরকার বাদশা এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের রাজশাহী জেলা সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, তাঁতী দলের আহবায়ক মামুনুর রশীদ মামুন, ওলামা দলের উপজেলা সভাপতি মুখলেছুর রহমান মুকুল প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, কারা নির্যাতিত, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ডিএম জিয়াউর রহমান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সার্বিক বিবেচনায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের তুলনায় তিনি অনেক এগিয়ে। ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের আমলে তার নামে ১২ টি মামলা দেয়া হয়। ৫ আগস্টের পূর্বে একাধিকবার গ্রেপ্তার হন। তাকে বিতর্কিত করতে কতিপয় নিজ দলে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা স্বার্থান্বেষী মহল নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

সমাবেশে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, আউচপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফি, ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহানাজ বেগম, শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক, আবু সামা মিস্টার, গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন মহুরি, তারেক জিয়ার প্রজন্ম দলের সভাপতি নাসির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সহ স্থানীয় দলের নেতৃবৃন্দ।