বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জুলাই সনদ আদেশ জারি ব্যতীত জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি হচ্ছে জুলাই সনদ। জুলাই সনদের আদেশ জারি করে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সেই আলোকেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার কাকরাইল-রমনা এলাকায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, কোন অবস্থাতেই জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে সম্ভব নয়। একজন ভোটার গণভোটের সবগুলো প্রস্তাব পড়ে, বুঝে ভোট দেওয়ার জন্য যেই সময়ের প্রয়োজন একই দিনে জাতীয় নির্বাচন হলে সকল ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সময়-সুযোগ পাবে না। ফলে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট দুটিই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

তিনি বলেন, যারা বলে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে হলে ৩ হাজার কোটি টাকা বাচঁবে তাদের কাছে শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার মূল্য বেশি। তারা শহীদদের স্বীকার করে না, শহীদের রক্তকে সম্মান করে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে, শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। জামায়াতে ইসলামী এদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা যা করণীয় জনগণ তার সবটাই করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিবাদের পথ চিরতরে বন্ধ করতে নভেম্বরের মধ্যে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোট সম্পন্ন করতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।

পথসভা শেষে ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ কাকরাইল, রমনা এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী, দোকান কর্মচারী ও পথচারীদের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর লিফলেট বিতরণ করেন।

এসময় তারা ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে সমর্থন কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সাত্তার সুমন, রমনা থানা আমীর আতিকুর রহমান, রমনা থানা নায়েবে আমীর এডভোকেট সুলতান উদ্দিন সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।