বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, একটি শক্তি আওয়ামী মার্কা নির্বাচনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা চায়, যেনতেন একটি নির্বাচন করে ক্ষমতার মসনদে বসতে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও সাকিব রায়হানের উত্তরসূরিরা বেঁচে থাকতে এদেশে আর কোন ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ছাত্রসমাজ; সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডরাবাজ, দখলদারদের বয়কট করবে। জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ মুক্ত, বৈষম্যহীন একটি সুখী-সমৃদ্ধ, ইনসাফর্পূণ বাংলাদেশ গড়তে চায়। জামায়াতে ইসলামীর চাওয়া এবং ছাত্রসমাজের চাওয়া একই। তাই ছাত্রসমাজ জামায়াতে ইসলামীর সাথেই থাকবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, ‘গত ১৭ বছরের প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণের এই ৭ দফা দাবি ছাত্র-জনতার দাবি’। ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ৭ দফা দাবি বাস্তবায়িত না হবে, এদেশের ছাত্রসমাজ ততক্ষণ পর্যন্ত কোন নির্বাচন মেনে নিবে না’। ছাত্র সমাজের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নামতে হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ছাত্রসমাজ রাস্তায় নামলে দাবি আদায় করে ছাড়বেই, ছাড়বে। বিজয় নিশ্চিত না করে ছাত্রসমাজ কখনো রাজপথ ছাড়েনি।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা বিরোধী আন্দোলন ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে হয়েছে এবং ছাত্রসমাজ বিজয়ী হয়েছে। ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার আকাক্সক্ষা বুঝে ৭ দফা দাবি মেনে নিবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের বিআইডিসি সড়কে অবস্থিত শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কার্যালয় চত্বরে রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-আড়ংঘাটা ও যোগীপোল) আসনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও খুলনা মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হাসানের পরিচালনা বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, বিএল কলেজের সাবেক সভাপতি মুনসুর আলম চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন, বায়তুলমাল সম্পাদক আসিফ বিন আজাদী, মিডিয়ার সম্পাদক সোলায়মান আবিদ, খালিশপুর থানার সভাপতি লিমন হোসেন, বিএল কলেজ সভাপতি হযরত আলী, সেক্রেটারি শেখ হোসাইন আহমেদ, মুহাসিন কলেজ সভাপতি জুবায়ের হোসেন, দৌলতপুর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান, দৌলতপুর উত্তরের সভাপতি কাশেম হোসেন, আড়ংঘাটা থানা সভাপতি রায়হান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।