জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তারা (বিএনপি) ভেবে ছিল ২/৩টা আসন দেখিয়ে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা লোভ দেখিয়ে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিনে নিবে। কিন্তু যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, তাদের কেনার সাধ্য বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের হয় নাই।

নাহিদ বলেন, ৫আগষ্ট আমরা দরজা খুলে দিয়ে বলেছিলাম আসুন জাতীয় সরকার গঠন করি, দেশকে পূনর্গঠন করি। সকল বিভাজন সবকিছুর উর্দ্ধে গিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি। কিন্তু তারা আমাদের সেই প্রস্তাবে সাই দেয়নি। তারা বলেছিলো ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে, আবার বলেছে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। ক্ষমতার ভাগবাটোয়ায় ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের কোন সমর্থন পাওয়া যায়নি ।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর ১ টায় সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়ে শহীদ আসিফ চত্বরে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল প্রমুখ।

সাতক্ষীরাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এখনো রেল সুবিধা পাননি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জলবায়ু ব্যবস্থা রক্ষা করতে হলে, সুন্দরবন রক্ষা করতে হলে— জাতীয় নাগরিক পার্টির পাশে থাকতে হবে। চাঁদাবাজদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যেই দেশের ছাত্র-জনতা ১৬ বছরের স্বৈরাচারী হাসিনাকে দিল্লি পাঠাতে পারে, তারা চাঁদাবাজদের ভয় পায় না।

তিনি আরও বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন। নতুন করে প্রস্তুতি নিন। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ইনসাফের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে। আগামী ৩ আগস্ট আমরা শহীদ মিনারে আসছি। সেখানে নতুন ইশতেহার দেব, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আদায়ের শপথ নেব।

পথসভার আগে শহীদ আসিফ চত্বর এলাকায় জুলাই—বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। পরে একটি পদযাত্রা শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে শেষ হয়। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় আল বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।