জামায়াতে ইসলামী জোর করে ইসলামের বিধিবিধান চাপিয়ে দেবেনা। কাওকে জোর করে বোরখা পরিধানে বাধ্য করবে না। চাকুরী ও সামাজিক কাজে নারীদের বাঁধা দেওয়া হবে না বলে জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এবং ঢাকা সংসদীয় ৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. মো: হেলাল উদ্দিন।

বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা বিভাগের মতিঝিল অঞ্চলের ৫ টি ওয়ার্ড নিয়ে আয়োজিত মহিলা রুকন সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা বিভাগের মতিঝিল জোন পরিচালক তানহা আজমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রুকন সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্যা ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি আয়েশা পারভীন।

ড. হেলাল উদ্দিন আরো বলেন, ভোটারদের অর্ধেক হলো নারী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ভোটারদের জামায়াত ইসলামি সম্পর্কে না বুঝাতে পারলে নির্বাচনে জয় লাভ করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে জুলাই আগস্টের বিপ্লবের পর নারীরা জামায়াত সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। জামায়াত সম্পর্কে অতীতে যে ধরনের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হতো তারা তা বুঝতে সক্ষম হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে নারীদের পক্ষ থেকে এখন ইতিবাচক সারা পাচ্ছি। জামায়াতে ইসলামী এখানে তাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেছে নারীরা তাদের অধিকার অনুযায়ী উপভোগ করতে পারবে। জামায়াতে ইসলামী মনে করে, নারী সমাজ যদি পিছিয়ে পরে তাহলে দেশও পেছিয়ে যাবে।

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামী দিনে জনগণ যদি ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসে তাহলে নারীদের উপযোগী কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে দেশকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, নারীদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সকল কাজে জামায়াত পাশে থাকবে। আগামী সংসদ নির্বাচনের নারী ভোটারদের মাঝে এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য জামায়াতের নারী দায়িত্বশীলদের অনুরোধ জানান।

তিনি উল্লেখ করেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংসদীয় ঢাকা ৮ আসনের প্রতিটি এলাকা ফ্লাট, বাড়ি বাড়ি গিয়ে দাওয়াতী কাজ অব্যাহত রাখতে বলেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা ৮ আসনের নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জামায়াতে ইসলামী আরও এগিয়ে যাবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দূর্নীতি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ উপহার দেবে।

তিনি আরও আশা করেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে পারেনা শাপলা চত্বরে আলেমদের উপর বর্বরোচিত হামলা, পল্টোনে ২৮ অক্টোবরে লগি বৈঠা দিয়ে হামলা, ২৪ এর জুলাইয়ে আগস্টে ছাত্রজনতার ত্যাগ আমাদের সহায়ক হবে। এছাড়া সৎ নেতৃত্বের জন্য হলেও একটি পরিবর্তন চায় মানুষ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশ থেকে সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গড়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটা মানুষ এখন বিশ্বাস করে।