বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপির আগামী দিনের নীতি জনগণের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি। দেশে-বিদেশে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার রাজনীতি। আর স্বপ্ন কিংবা প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণ এবার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।

রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গনে যুবদলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যুবদলের নিহত ৭৮ শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

তারেক রহমান বলেন, পরিষ্কারভাবে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি যেমন বুঝি, পরিষ্কারভাবে এখানে প্রত্যেকটি মানুষ অনুধাবন করেন বাংলাদেশের জনগণ পরিবর্তন চায় এখন। আর স্বপ্ন কিংবা প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণ এবার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জনগণের সেই আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন করছে।

তিনি বলেন, চেষ্টা করছি আমরা আমাদের নেতাকর্মী আমাদের দলের ভেতরে, দলের বাইরে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি, কাজ করছি। আমাদের আগামী দিনের নীতি জনগণের জীবন উন্নয়নের রাজনীতি। দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, এটাই হবে আমাদের রাজনীতির অন্যতম মূল লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তারেক রহমানের ভাবনা একটি ‘ড্রিম’। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের নেতা আমাদেরকে যে পথ দেখাচ্ছেন, তাতে আমার একটি কথাই মনে হয় মার্টিন লুথার কিং-এর সেই ঐতিহাসিক কথা, ‘আই হেভ এ ড্রিম’।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আহ্বান জানাতে চাই, আসুন আমরা পরস্পর পরস্পরে কাঁদা ছড়াছড়ি না করে সবাই মিলে একসাথে কাজ করে আমরা বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই, মাথা উঁচু করে দাঁড়াই। ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব। পাশাপাশি গণতন্ত্র উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সকলকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

যুবদলের সভাপতি এম আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মেহেদি আমিন, মানবাধিকার কর্মী সাইয়েদ আবদুল্লাহ, দীর্ঘদিন গুম থাকা এডভোকেট সোহেল রানা, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সায়েম আল মনসুর ফয়েজী, শহীদ মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে আপন, ইয়াহিয়া আলীর মেয়ে তাইয়েবা খাতুন, হাফিজুর রহমান সুমনের স্ত্রী বিথি আখতার, নাদিম মিজানের স্ত্রী তাবাসসুম আখতার নেহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।