গত ৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বিবিসি বাংলা ঢাকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক শামীমা এ. খানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে জনকণ্ঠ পত্রিকাটি অবৈধভাবে দখলের সঙ্গে জামায়াতপন্থী কয়েকজন সাংবাদিক জড়িত থাকার যে ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বিবৃতি দিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা দখলের ঘটনায় জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগাান্ডা। জনকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক শামীমা এ. খান প্রকৃতপক্ষে এমন কোনো অভিযোগ করেছেন কি না, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। যদি তিনি এ ধরনের অভিযোগ করে থাকেন, তবে তাঁর উচিত ছিল বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ও নিরপেক্ষ তথ্য যাচাই করে বক্তব্য প্রদান করা। কোনো নাম না উল্লেখ করে অজ্ঞাত ‘জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের’ বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

তিনি আরও বলেন, বিবিসি বাংলা ঢাকার সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকেরও দায়িত্ব ছিল অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে রিপোর্টটি প্রকাশ করা। অথচ তারা একতরফাভাবে বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি বক্তব্য প্রচার করেছে, যা বিবিসির মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ববোধের পরিপন্থী।

তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি যে, জনকণ্ঠ পত্রিকা দখলের প্রচেষ্টার সঙ্গে জামায়াতপন্থী কোনো সাংবাদিকের সম্পৃক্ততা নেই। বিবিসির প্রতিবেদনটিতে কারো নাম না থাকা থেকেই স্পষ্ট যে, এটি জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা মাত্র।

তিনি আরও বলেন, আমি বিবিসি বাংলা ঢাকার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন ভবিষ্যতে এমন ভিত্তিহীন, মনগড়া ও কল্পনাপ্রসূত অভিযোগ প্রচার থেকে বিরত থাকেন এবং এই বিবৃতিটি যথাযথভাবে প্রচার করে ইতোমধ্যে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরশন করবেন।