ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের অভিযোগ, দলটি গণহত্যায় জড়িত এবং তাই তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। এছাড়া গত দেড় দশক ধরে দেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত রেখেছে। দেশে অনেকটা একদলীয় শাসন কায়েম করে বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে। সব শেষে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনা তার উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এখন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছে। সাম্প্রতিক সমেয় সেটি আরও জোরালো হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সরব হয়ে উঠেছে গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শক্তি।

সরকারের একাধিক উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের’ বিষয়টি এখন আইনি যাচাই-বাছাইয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা শিগগিরই আসতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই দাবিতে আন্দোলনের ধারা বহাল থাকে এবং সরকারি ঘোষণার সঙ্গে একত্রিত হয়, তাহলে আগামী কয়েক সপ্তাহ বাংলাদেশ রাজনীতির ইতিহাসে এক ভয়াবহ পালাবদলের সূচক হতে পারে।

সূত্র মতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের বিচার ও তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অনড়। সমাবেশগুলোতে এনসিপি নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তারা আরও বলেন, জনগণ গত বছরই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এর পরও কেউ তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে।

সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এবি পার্টির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, স্বৈরাচার আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে সরকার গঠনের দায়ে অভিযুক্তদের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপ জানতে চান। সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, যে আওয়ামী লীগ ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা ঘটিয়েছে, তাদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপ তারা দেখছেন না। তিনি অবিলম্বে এই দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলো এবং ইসলামী দলগুলোও আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানিয়েছে। সব মিলিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে তাদের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরছে।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ইস্যুতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। জামায়াত আমীর তার পোস্টে বলেন, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত এবং পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাহিরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের গত ১৭ তারিখের একটি বক্তব্য একাধিকবার পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কবর রচনা করে গেছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার অনুমতি দিবে না।

এদিন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুথানে পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর এদেশে এক নবদিগন্তের সূচনা হয়েছিলো। ২০১৭ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দল হিসাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার থেকেছে। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর নতুনভাবে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করে এনডিএম। একইসাথে আমরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বিচারও চেয়েছি। আমাদের কথা পরিষ্কার, বাংলাদেশের পবিত্র জমিনে অগণিত ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক কর্মী, আলেম-ওলামা, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের রক্ত ঝড়ানো আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ। তিনি দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তবে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে কোনো বাধা থাকবে না। তিনি বলেন, আমি বিএনপি, জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।

এদিকে গত ২১ এপ্রিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে ৫ সংগঠন। তারা সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানান। জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স, অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি, জাবি, জবি, ঢাবি, ঢাকা কলেজ এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিনিধিরা এই স্মারকলিপি দেন। আইন উপদেষ্টার কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে তারা লিখেছেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যা আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের যৌথ নির্দেশনায় এদেশের সাধারণ নাগরিকদের ওপর চালানো হয়েছে পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ, যার ফলে দুই সহস্রাধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং বহু মানুষ এখনও পঙ্গু ও নিখোঁজ। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই গণহত্যার বিচার এখনও শুরু হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া হচ্ছে চরম ধীরগতির, প্রতিহত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ব্যবহার করে। অনেকবগুলো দাবির মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে, অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গসংগঠনকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে বলে স্মরিক লিপিতে উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে দেওয়া এক আবেগঘন বক্তব্যে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু আমাদের আবারও সেই ঘৃণ্য দলটির নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে নামতে হলো। আমাদের ঘরে ফেরা হয়নি, আমরা আজ রাতে রাজপথে শুয়ে, বসে, অবস্থান করেই গণতন্ত্রের শুদ্ধি আনব। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন- সব কিছুই বিকৃত করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের যেসব সাহসী পদক্ষেপ আমরা দেখেছি, তার পূর্ণতা হবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে। তার বক্তব্য চলাকালে একের পর এক স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে যমুনার সামনের এলাকা। ‘ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘আমার সোনার বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’ শ্লোগানে ছাত্রনেতারা, তরুণ কর্মী এবং সাধারণ জনগণ একাত্মতা প্রকাশ করেন। এই অবস্থান কর্মসূচিতে রাতেই একাত্মতা প্রকাশ করে ইসলামী ছাত্রশিবির, জুলাই ঐক্য পরিষদ, ইনকিলাব মঞ্চ, আপ বাংলাদেশ, ইনকিলাব উইমেন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কসহ একাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম প্রমুখ।

দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের পক্ষে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকা না থাকার বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। দলটির অন্যতম নীতি নির্ধারক ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ তো আমরা করতে পারবো না। এটি সরকার বা নির্বাচন কমিশন চাইলে করতে পারে। আমরা জনগণের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না। তবে বিএনপির এই অবস্থানকে দ্বিমুখী আচরণ বলছেন কেউ কেউ। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, দ্রুত নির্বাচন আদায়ে আওয়ামী লীগকে হাতেও রাখতে চাইছে বিএনপি। বিএনপি সূত্রের খবর, আওয়ামী লীগ জনসমর্থন হারালেও দলটিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে বিতর্ক হবে। তাই একতরফা নয়, আওয়ামী লীগকে ভোটে হারিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় বিএনপি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চায় না বিএনপি এই কথাটা বলল কে? একটা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে আওয়ামী লীগকে ১০-২০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলেই তো হয়। গণমাধ্যমে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা আব্বাস।

আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে থাকতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার গণমাধ্যমে বলেন, আমাদের এ বিষয়ে বলার সময় এখনো আসেনি। আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা বলতে আরও সময় লাগবে। এ বিষয়ে আমরা এখনো কিছু বলতে চাচ্ছি না। সময়ই বলে দেবে, সময়ই আমাদের গাইড করবে। সময়ই বলবে, আমরা কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হবে কি হবে না এটা রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে দলগতভাবে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে সেই দল বা সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার সুযোগ আমাদের আইনে আছে। সে ক্ষেত্রে দলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা বা অভিযোগ নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটা ভবিষ্যতে করা হবে কিনা আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে অভিযোগ তথ্য প্রমাণাদি বিদ্যমান আছে। প্রয়োজন হলে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে। বাট এটার পেছনে রাষ্ট্রের একটা সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হবে।

অন্যদিকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ব্যাপারে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন সরকার বিবেচনায় রাখছে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছে।