রাজনীতি
আইয়ামে জাহেলিয়াতের চেয়েও জঘন্য ছিল আওয়ামী জাহেলিয়াত : মাওলানা এটিএম মাছুম
আইয়ামে জাহেলিয়াতের চেয়েও জঘন্য ছিল আওয়ামী জাহেলিয়াত মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম বলেন, ইসলামের প্রতি তাদের ছিল প্রচন্ড বিদ্বেষ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলাম ও মুসলিম শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে। নাস্তিক্যবাদি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে তরুণ প্রজন্মের নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ নষ্ট করা হয়েছে। সংবিধানের

আইয়ামে জাহেলিয়াতের চেয়েও জঘন্য ছিল আওয়ামী জাহেলিয়াত মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম বলেন, ইসলামের প্রতি তাদের ছিল প্রচন্ড বিদ্বেষ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলাম ও মুসলিম শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে। নাস্তিক্যবাদি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে তরুণ প্রজন্মের নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ নষ্ট করা হয়েছে। সংবিধানের মূলনীতি থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি কোন মুসলিমের পক্ষে সম্ভব না হলেও হাসিনার পক্ষে সম্ভব হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আয়োজনে উলামায়ে কেরামের সম্মানে ইফতার মাহফিল পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নিরীহ আলেমদের হত্যা করা হয়েছে। সবশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়েছে খুনি হাসিনা। গত ১৬ বছর অসংখ্য মানুষকে খুন, গুম করেছে। বিরোধী দল ও মতের নেতাকর্মীদের দমন করেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করে দেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছে। তিনি আরো বলেন, জাতির ভাগ্য নিহিত শাসক ও আলেম সমাজের কাছে। দেশ ও উম্মাহর কল্যাণে নিষ্ঠার সাথে আলেম সমাজকে কাজ করা জরুরী বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সিন্ডিকেট সদস্য ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী ড. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারী জেনারেল ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, আল্লাহ তা’আলা আলেমদের সম্মানিত করেছেন। এ সম্মানের অন্যতম দিক হলো ইলম। তাই আমাদের উচিৎ বিষয়ভিত্তিক ইলমী দক্ষতা অর্জন। ইখতিলাফি বিষয়ে বিরোধে জড়ানো যাবে না উল্লেক করে তিনি বলেন, একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলা থেকে বিরত থাকা, আত্মঅহমিকায় লিপ্ত না হয়ে বিনয়ী হতে হবে।
ইসলামী কানূন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা আবু তাহের জিহাদী বলেন, সমাজের আত্মা হলো আলেম সমাজ। আলেমগণ নষ্ট হলে সমাজ নষ্ট হবে। আলেমগণ ভালো থাকলে সমাজ ভালো থাকবে। ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে আলেম সমাজের ভূমিকা জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. আব্দুল মান্নান বলেন, নতুনভাবে স্বাধীন হওয়া দেশে স্বাধীনভাবে কুরআন-হাদীসের আলোকে মিম্বারে কথা বলতে হবে। কারো রক্তচক্ষুকে আলেম সমাজ পরোয়া করতে পারে না। তিনি আলেমদের উদ্দেশ্যে বলেন, আলেম সমাজকেই এক আল্লাহ ব্যতিত কারো কাছে মাথানত না করা শিখাতে হবে তরুণ প্রজন্মকে। বর্তমান সময় আল্লাহর দেওয়া এক বিশেষ নেয়ামত উল্লেখ করে তিনি বলেন, দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করলে আল্লাহ তাআলা এই নেয়ামত থেকে জাতিকে বঞ্চিত করতে পারেন। তাই সকলকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আল্লাহর প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে।