বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন , বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৪ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে কাজ করে। আমরা মানুষকে আল্লাহর সত্য দ্বীনের দিকে আহ্বান জানাই। যারা এই আহ্বানে এগিয়ে আসে আমরা তাদেরকে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের দেওয়ার উপযোগী করে তুলতে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আমাদের তৃতীয় দফা কর্মসূচি হচ্ছে সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবা করা। জামায়াতে ইসলামীর চতুর্থ দফা কর্মসূচি হচ্ছে, অসৎ, দুর্নীতি পরায়ন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সৎ, যোগ্য ও আদর্শ নেতৃত্ব তৈরি করা। নৈতিক উন্নতি ও দক্ষ নেতৃত্ব গঠনে আমরা, আমাদের নেতাকর্মীদের গড়ে তুলি। আমাদের দলের আমীর শহীদ মতিউর রহমান নিজামী এবং সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ৩টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তাদের দ্বারা রাষ্ট্রের এক পয়সাও দুর্নীতি কিংবা লুটপাট হয়নি। এমনকি নিজ দলের কোন নেতাকর্মীও দুর্নীতি কিংবা লুটপাট করেনি। আত্মীয়করণ কিংবা দলীয়করণ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে নাই। জামায়াতে ইসলামী দায়িত্বকে জনগণের আমানত মনে করে। তাই জনগণ জামায়াতে ইসলামীর হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে জামায়াতে ইসলামী জনগণকে তাদের প্রত্যাশিত বৈষম্যহীন একটি আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দিবে। শনিবার দিবাগত রাতে গোয়ালখালী বায়তুন নাজাত মহিলা দাখিল মাদরাসার উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

খন্দকার আমীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা আসাদুজ্জামান, বিশেষ বক্তা ছিলেন আমিনুর রহমান সিরাজী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খালিশপুর ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আমীর কাজী বায়েজিদ, খুলনা সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শামসুর জামা, শ্রমিক নেতা মাহফুজুর রহমান, গোয়ালখালি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইলিয়াসুর রহমান, বাসস্ট্রান্ড মসজিদের ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম, বায়তুল নাজাত মহিলা মাদরাসার সুপার মাওলানা কামরুল ইসলাম সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ।

রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও গণহত্যার বিচার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে মন্তব্য করে খুলনা-৩ আসনের এই এমপি প্রার্থী বলেন, শহীদদের রক্তের সাথে কাউকে বেঈমানী করতে দেওয়া হবে না। জনগণ চায়, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ ও গণহত্যার বিচার শেষ করে নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির কাছে রাষ্ট্রের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক। সংস্কার ও গণহত্যার বিচার শেষ না করে নির্বাচন দিলে ওই নির্বাচন হবে শহীদের রক্তের সাথে তামাশা আর আহতদের সাথে ঠাড্ডা করার শামিল।