চট্টগ্রাম ১০ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেছেন, এই দেশ স্বাধীন হয়েছে কারো তাবেদারি করতে নয়। অতীতে দেখেছি একদল মানুষ পিন্ডির জুজু দেখিয়ে দিল্লির আধিপত্যবাদ মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে অন্য দেশের আধিপত্যবাদ চলবে না। আগামী নির্বাচনে সকল ধরনের আধিপত্যবাদ রুখে দেওয়া হবে।

তিনি আজ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর এর ডবলমুরিং থানার উদ্যোগে আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা সভাপতি আকরাম হোসেন জিহাদের সভাপতিত্বে ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি কায়সারল আলমের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মকবুল আহমেদ ভূঁইয়া, জামায়াত ইসলামী ২৪ নং ওয়ার্ড আমির মাওলানা মোঃ ইমরান হোসাইন, ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জনাব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মালেক প্রমুখ।

অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি বৃহৎ দেশ রয়েছে। যাদের সাথে আমরা প্রতিবেশী হিসেবে সব সময় সুসম্পর্ক চেয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হলে সত্য তারা আমাদের উপর সর্বদা আধিপত্যবাদ কায়েম করতে চেয়েছে। তারা আমাদের নদীগুলোর উপরে বাঁধ নির্মাণ করে এদেশের খেটে খাওয়া কৃষিজীবী মানুষদের মাঠে মেরে ফেলেছে। অপরদিকে এদেশের কলকারখানা বন্ধ করার জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই নানামুখী চক্রান্ত করে আসছে। তারা আমাদের দেশের পাটকল সহ বড় বড় কারখানাগুলো বন্ধ করে দিয়ে এ দেশের মানুষকে কর্মহীন করেছে। আজকে লক্ষ কোটি শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন। কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার কারণে রপ্তানি দিন দিন কমছে। ফলে অসম বাণিজ্য ঘাটতির কারণে আমাদের দেশের টাকার মান তলানিতে ঠেকেছে। অর্থনীতির এই দুর্দশায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এদেশের শ্রমজীবী মানুষ।

এস এম লুৎফর রহমান বলেন, সোনার বাংলাদেশ করতে হলে সর্বপ্রথম সোনার মানুষ বাছাই করতে হবে। যাদের অতীত রেকর্ড দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। চাঁদাবাজি লুটপাট ও দখলদারিত্বের অবসান করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে আমরা অতীতের নোংরা রাজনীতি আর দেখতে চাই না। যে উন্নয়ন শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে না সেই উন্নয়ন আমরা চাই না। আমরা চাই এদেশের শ্রমজীবী মানুষ তাদের পরিশ্রমের বিনিময়ে দিনশেষে যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বসবাস করুক। আগামী দিনে শ্রমজীবী মানুষরা সৎ দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের বিজয়ী করার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে। আমরা বিশ্বাস করি সততা ও ন্যায়ের পক্ষে এদেশের মানুষ অবস্থান নিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।