অধিকারহারা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুখী-সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে অকূতোভয় সৈনিকের ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
তিনি গতকাল ১৬ মে রাত ৮টায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে গুলশান জোন জামায়াত আয়োজিত এক সদস্য শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহনগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ও জোন পরিচালক ইয়াছিন আরাফাতের সভাপতিত্বে এবং সহকারী পরিচালক,মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়েতুল্লাহর পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, ঢাকা-১৭ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী ডা. স ম খালিদুজ্জামান, ঢাকা-১১ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন বনানী থানা আমীর মিজানুর রহমান খান, গুলশান পশ্চিম আমীর মাহমুদুর রহমান আজাদ, ক্যান্টনমেন্ট থানা আমীর আব্দুস সাকি ও গুলশান পূর্ব থানা আমীর জিল্লুর রহমান প্রমূখ।
অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে অত্যাচারী আওয়ামী- বাকশালীদের পতন হলেও রাষ্ট্রাচারে এখনো শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি। কারণ, বাকশালীরা রাষ্ট্রের সকল অবকাঠামোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সহ রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলদাস প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কোনভাবেই অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আগামী নির্বাচনের আগেই রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। তিনি সম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান।
তিনি বলেন, রুকনিয়াত কোন পদ-পদবী নয় বরং একটি মানের নাম। তাই প্রত্যেক রুকনের জীবনে সে মানের প্রতিফলন থাকা অত্যাবশ্যক। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ফরজ- ওয়াজিব মেনে চলে হারাম উপার্জন থেকে সব সময় বেঁচে থাকাও জরুরি। সর্বোপরি কোন ক্ষেত্রেই মিথ্যা ও অসততার আশ্রয় নেওয়ার সুুযোগ নেই। রূঢ়তা নয় বরং চরিত্র মাধুর্য্য দিয়েই সবকিছু জয় করতে হবে। আর ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে রুকন সহ সর্বস্তরের জনশক্তিকে গণসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানের আহবান জানান। তাহলেই দ্বীনের বিজয় সহজ হতে সহজতর হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদ মুক্ত হলেও আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এখনো শেষ হয়ে যায়নি বরং অর্জিত বিজয় টেকসই ও অর্থবহ করতে আমাদেরকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। তিনি দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।